-
সৌদি আরব কি সালমান আল-আউদাহকে মুক্তি দেবে?
কাতারের সাথে সৌদি আরবের পুনরায় সুসম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অনেকেই প্রশ্ন করছে – এখন কি তবে সালমান আল-আউদাহ মুক্তি পাবেন?
সালমান আল-আউদাহ (বিকল্প বানান সালমান আল-আওদাহ) হচ্ছেন সৌদি আরবের সবচেয়ে বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে একজন। কাতার অবরোধের পর তার করা একটা টুইটের অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কিন্তু সরাসরি কাতারের পক্ষেও টুইট করেননি, তিনি শুধু দোয়া করেছিলেন যেন দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় থাকে।
সেই অপরাধেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, এবং যেহেতু সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তোলে, তাই তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়, তাকে দীর্ঘদিন সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়, এবং এখনও তিনি বন্দীই আছেন।
-
বর্ন এ কিং: রূপালি পর্দায় বাদশাহ ফয়সাল
বর্ন এ কিং (Born a King) (2019) – পুরাই আনএক্সপেক্টেড একটা মুভি। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আব্দুল আজিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের চিত্রায়ন।
সিনেমার কাহিনী ১৯১৯ সালের। সে সময় ব্রিটিশ সরকার আব্দুল আজিজ বিন সৌদকে ব্রিটেন সফরের নিমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু আব্দুল আজিজ তখন শেরিফ হুসেইনের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কায় দেশ ত্যাগ করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। তার পরিবর্তে তিনি ইংল্যান্ডে পাঠান তার ছেলে, ভবিষ্যত বাদশাহ ফয়সালকে। সে সময় বাদশাহ ফয়সাল ছিলেন মাত্র ১৪ বছর বয়সী!
-
মোহাম্মদ বিন সালমান বনাম সুলতান বিন তুর্কি: এক রাজকীয় কিডন্যাপিংয়ের কাহিনী!
প্রিন্স সুলতান বিন তুর্কি এর আগেও একবার কিডন্যাপ হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে। সে সময় তাকে কিডন্যাপ করেন তার চাচাতো ভাই, সৌদি রাজপুত্র আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৬ সালে তিনি আবারও প্রায়ই একই পদ্ধতিতে দ্বিতীয়বার কিডন্যাপ হন। এবার তাকে কিডন্যাপ করেন তার আরেক চাচাতো ভাই, আরেক রাজপুত্র, মোহাম্মদ বিন সালমান!
সম্পূর্ণ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে রোর বাংলায়। পড়তে পারেন এখান থেকে। নিচে চুম্বক অংশ দেওয়া হলো:
-
ইতিহাসে হজ্ব বাতিলের ঘটনা
করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব এ বছর হজ্ব বাতিল করার কথা বিবেচনা করছে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আল্লাহ্ না করুক, যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে হজ্ব বাতিল হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সৌদি হজমন্ত্রী মানুষকে এখনই হজের প্রস্তুতি নিতে নিষেধ করেছেন।
-
কাবা চত্বর বন্ধ: সৌদি আরবের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত!
সৌদি শাসকদের এবং তাদের অনুগত আলেমদের প্রচুর সমালোচনা করেছি, এবং ভবিষ্যতেও করব, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের একটা স্টেপের প্রশংসা না করলে সেটা অন্যায় হবে। সেটা হচ্ছে তাদের উমরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো, সাময়িকভাবে কাবা চত্বর বন্ধ করে দেওয়ার মতো বোল্ড সিদ্ধান্ত।
প্রতি বছর সৌদি আরবে ৯ মিলিয়নের মতো মানুষ উমরাহ এবং হজ্ব পালন করতে যায়। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই যায় প্রায় ২ মিলিয়ন। আর জিলহজ্ব মাসে যায় প্রায় ৩ মিলিয়ন। উমরাহকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। এটা শুধু ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত কিংডম অফ সৌদি অ্যারাবিয়ার ক্ষেত্রেই সত্য না, ইসমাঈল (আ) এর আমল থেকেই এটা সত্য।