-
বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা
২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর বেশ মজার একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন লিবিয়ার সাবহা থেকে ত্রিপোলি যাওয়ার পথে আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের একটা বিমান ছিনতাই হয়ে যায়।
প্লেনটাতে মোট ১১১ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু জন ছিল, যাদের মধ্য ৮২ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী এবং ১ জন শিশু। জিম্মিদের মধ্যে লিবিয়ার পার্লামেন্ট এইচওআরের (হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ) একজন সদস্যও ছিলেন।
সাবহা থেকে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই দুইজন ছিনতাইকারী প্লেনটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাদের হাতে ছিল বন্দুক এবং হ্যান্ড গ্রেনেড। তারা প্লেনটাকে মাল্টায় নিয়ে যেতে পাইলটকে বাধ্য করে। মাল্টায় অবতরণের পরপরই তারা প্রথমে নারী এবং শিশুদেরকে এবং পরে সব যাত্রীকে মুক্তি দিয়ে দেয়। ভেতরে থাকে শুধু পাইলট আর ক্রুরা।
-
১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা অধ্যায়
২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সেদিন লিবিয়াতেও শুরু হয়েছিল গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, যার ধারাবাহিকতায় আট মাস পর ঘটেছিল বেয়াল্লিশ ধরে ক্ষমতায় থাকা লৌহ মানব গাদ্দাফির পতন। কিন্তু ঠিক কী কারণে, কীভাবে শুরু হয়েছিল এ বিদ্রোহ? আর ঠিক কীভাবেই পতন হয়েছিল গাদ্দাফীর? সেই ইতিহাসই তুলে ধরলাম এ লেখায়। লেখাটি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
অ্যান্টি-আমেরিকান নিউজের পরিমাণ বেশি কেন?
পত্রপত্রিকায় বা ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা দেখা যায় আমেরিকার বিরুদ্ধে। এর একটা কারণ তো পরিষ্কার – আমেরিকা আসলেই বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কালপ্রিট। তা না হলে তারা তাদের সুপার পাওয়ার মেইন্টেইন করতে পারত না।
কিন্তু আমেরিকা বিরোধিতার এটাই একমাত্র কারণ না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, পাবলিক আমেরিকাবিরোধিতা বেশি খায়। সেজন্যই দেখা যায় যারা আসলে আমেরিকাবিরোধী না, বা ইনফ্যাক্ট যারা নিজেরাই আমেরিকার পাপেট, তারাও প্রকাশ্যে প্রচণ্ড আমেরিকাবিরোধী সাজে এবং পাবলিকের মন জয় করার জন্য অন্যদেরকে আমেরিকাপন্থী, বা যেকোনো অপরাধকে আমেরিকার ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করতে থাকে।
উদাহরণ প্রচুর পাওয়া যাবে। মিসরের উদাহরণটা বিবেচনা করা যায়। প্রেসিডেন্ট মুরসিকে অবৈধভাবে সরিয়ে জেনারেল সিসি ক্ষমতায় বসেছিল আমেরিকার নীরব সমর্থন নিয়েই। না, আমেরিকা মেইন প্লেয়ার ছিল না, কিন্তু তারা ক্যু হবে জেনেও কোনো বাধা দেয়নি।