-
লা মিজারেবলস: ফ্রান্স কাঁপানো রায়টের সত্য ঘটনা নিয়ে যে মুভি
চমৎকার একটা ফ্রেঞ্চ মুভি লা মিজারেবলস (Les Misérables)। লুজলি বেজড অন এ ট্রু স্টোরি। এবং স্টোরিটা ঘটেছিল পরিচালকের নিজের জীবনেই!
মালিয়ান বংশোদ্ভূত পরিচালক লাজ লি ছিলেন ফ্রান্সের দরিদ্র এলাকার এক রাবিশ কালেক্টরের ছেলে। ছোটকাল থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ গরীবদের উপর ফ্রান্সের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতন দেখে বড় হয়েছেন তিনি। একটু বড় হওয়ার পর যখন হাতে একটি হ্যান্ডহেল্ড ভিডিও ক্যামেরা পান, তখন থেকে সেটা দিয়ে পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও করতে শুরু করেন তিনি।
-
হোটেল মুম্বাই: তাজ হোটেলে অবরুদ্ধ ১২ ঘণ্টা
গত বছর দেখেছিলাম হোটেল মুম্বাই (Hotel Mumbai) (2018)। ২০০৮ সালের মুম্বাই সিরিজ অ্যাটাকের উপর নির্মিত অস্ট্রেলিয়ান মুভি।
ভারতের মুম্বাইয়ে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্করে তৈয়বার ঐ সিরিজ আক্রমণে মোট ১৬৬জন নিহত হয়েছিল। মোট ১২টি কোর্ডিনেটেড অ্যাটাক হয়েছিল। এর মধ্যে মুভিতে শুধু মুম্বাইর তাজ হোটেলের আক্রমণটার উপরেই ফোকাস করা হয়েছে।
-
দ্য ম্যাসেজ: গাদ্দাফির কল্যাণে যেভাবে আলোর মুখ দেখেছিল সিনেমাটি
হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবনী নিয়ে নির্মিত দ্য ম্যাসেজ (The Message) তথা আর-রিসালাহ মুভিতে বদরের যুদ্ধের একটা সিন আছে। সেখানে যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদেরকে একটা কুয়া থেকে পানি তুলতে দেখা যায়। বিখ্যাত লিবিয়ান পর্যটক ওসামা থিনির পোস্ট অনুযায়ী, ফিচার ইমেজের ছবির এই জিনিসটাই হচ্ছে সেই কুয়াটা। জায়গাটা লিবিয়ার দক্ষিণে ওবারি শহরের নিকটে, সাহারা মরুভূমিতে।
-
জেড (Z): গ্রীসের সামরিক স্বৈরশাসনের উপর অসাধারণ এক পলিটিক্যাল থ্রিলার
গ্রীক পরিচালক কোস্তা গাভরাস (Costa-Gavras) এর মুভি প্রথমে দেখেছিলাম ২০১০ সালের দিকে, মিসিং (Missing)। চিলির সামরিক অভ্যুত্থান, গণহত্যা এবং সেই অভ্যুত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন ভূমিকার উপর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত অসাধারণ একটা পলিটিক্যাল থ্রিলার।
এরপর আইএমডিবিতে (IMDB – Internet Movie Database) গিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে জানতে পারলাম, এই পরিচালকের সবচেয়ে বেশি রেটিং পাওয়া মুভি হচ্ছে আরেকটা পলিটিক্যাল থ্রিলার, Z (1969)। আইএমডিবি রেটিং 8.2, কিন্তু ফ্রেঞ্চ ভাষায় নির্মিত সিনেমাটার ভোটসংখ্যা কম হওয়ায় আইএমডিবির অ্যালগরিদম অনুযায়ী এটা টপ লিস্টে উঠতে পারেনি।
-
দ্য প্রেসিডেন্ট: এক পতিত স্বৈরাচারের গল্প
মহাপরাক্রমশালী প্রেসিডেন্ট তিনি। তার আঙ্গুলি হেলনে পুরো দেশ উঠে বসে। এক রাতে নিজের প্রাসাদে কাঁচের দেয়ালের ভেতরে বসে নিজের রাজধানী, আলোকসজ্জায় জ্বলজ্বল করা সিটি অফ লাইটসের দিকে তাকিয়ে সেটাই ভাবছিলেন তিনি। পাশে বসে ছিল তার কিশোর নাতি।
প্রেসিডেন্টের ছেলেকে বিদ্রোহীরা হত্যা করেছিল। নাতিই ছিল তার একমাত্র উত্তরাধিকার। নাতিকে তিনি বোঝাচ্ছিলেন, বড় হলে তাকেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু নাতির তখন দেশ পরিচালনার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ ছিল না। সে চাইছিল আইসক্রিম খেতে।
নাতিকে ক্ষমতার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য তিনি টেলিফোন করলেন বিদ্যুৎ বিভাগে। নাতি বললেন, দেখছ এই যে কী সুন্দর আলো জ্বলজ্বল করছে? আমার নির্দেশে দেখবে এক মুহূর্তের মধ্যে সব কীভাবে অন্ধকার হয়ে যাবে, আমার আমার নির্দেশেই কীভাবে সব আলোকিত হয়ে উঠবে!
প্রেসিডেন্ট বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিলেন, আমার প্রাসাদ ছাড়া পুরো শহরের ইলেক্ট্রিসিটি কেটে দাও। মুহূর্তের মধ্যে পুরো শহর অন্ধকার হয়ে গেল। নাতি মজা পেয়ে গেল। দাদার কাছ থেকে ফোনের রিসিভার নিয়ে সে নিজেই এবার নির্দেশ দিল, অন করে দাও। সাথে সাথে জ্বলে উঠল শহরের সব লাইট।