-
কোন ধরনের বই কোন ফরম্যাটে পড়বেন?
বই মানেই বাঁধাই করা চামড়ার মলাটের ভেতর মুদ্রিত কাগজের সমষ্টি – এই ধারণাটা পুরনো হয়ে গেছে। বই এখন পড়া যেতে পারে পিডিএফ, ইপাব, মোবি বা অন্য যেকোনো ফরম্যাটে। অথবা বই শোনা যেতে পারে অডিও বুক থেকেও।
বই পড়া, জ্ঞান অর্জন করা কিংবা সাহিত্যের রস আস্বাদন করাই যদি আপনার মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে আপনি হয়তো ফরম্যাটকে খুব একটা গুরুত্ব দিবেন না। স্থান-কাল ভেদে কিংবা সহজলভ্যতার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য হয়তো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে বই পড়াই সবদিক থেকে উপকারী হতে পারে।
কথা হচ্ছে সব বই কি সব ফরম্যাটে পড়ার উপযোগী? বলা মুশকিল। এটা যার যার রুচি বা অভ্যাসের উপর নির্ভর করতে পারে। আমি বরং নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি – কোন ধরনের বই আমি কোন ফরম্যাটে পড়তে পছন্দ করি। আপনার পছন্দের সাথে নাও মিলতে পারে, তবে হয়তো একটা ধারণা পেতেও পারেন।
-
মুভি বনাম উপন্যাস: কোনটা ভালো?
অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, কোনো উপন্যাস অবলম্বনে মুভি বানানো হলে মুভিটা উপন্যাসের মতো ভালো হয় না। উপন্যাসে অনেক বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়, কল্পনার দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু দেখা যায়, মুভিতে সেই সুযোগ থাকে না।
এটা অনেকাংশে সত্য, কিন্তু সব সময় অবশ্যই না। এবং এই যে অনেকাংশেই সত্য, এর মধ্যেও একটা ঘাপলা আছে। ঘাপলাটা কী? ব্যাখ্যা করছি।
-
দ্য বেসিক ল’জ অফ হিউম্যান স্টুপিডিটি!
ইন্টারেস্টিং একটা বইয়ের সন্ধান পেলাম: দ্য বেসিক ল’জ অফ হিউম্যান স্টুপিডিটি (The Basic Laws of Human Stupidity)!
বইটা অবশ্য পড়িনি, জাস্ট একটা রিভিউ পড়লাম আর দুইটা ইউটিউব ভিডিও দেখলাম। লেখক পাঁচটি পয়েন্টে মানুষের স্টুপিডিটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে দ্বিতীয় পয়েন্টটা আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে। এটার মুল বক্তব্য হচ্ছে, বেকুব মানুষের অনুপাত সমাজের সব শ্রেণির মধ্যে মোটামুটি সমান।
অর্থাৎ, ধনীরা বুদ্ধিমান, গরীবরা বেকুব, বা সায়েন্স পড়ুয়ারা বুদ্ধিমান, আর্টস পড়ুয়ারা বেকুব, বা ক্ষমতাবানরা বুদ্ধিমান, আর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা বেকুব – এরকম কোনো কথা নাই। লেখকের মতে যদি রিকশাওয়ালাদের মধ্যে ৪০% মানুষ বেকুব থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্টদের মধ্যেও মোটামুটি ৪০% এর কাছাকাছি বেকুব থাকবে!
-
প্রি-অর্ডার কী? কখন করবেন? কখন করবেন না?
প্রি-অর্ডার নিয়ে অনেকের মধ্যেই কিছুটা কনফিউশন আছে। সো আমি যেটুকু বুঝেছি, সেটুকুই একটু ব্যাখ্যা করছি।
প্রি-অর্ডার জিনিসটা কী? আপনি কখন প্রি-অর্ডার করবেন? কখন করবেন না?
প্রি-অর্ডার হচ্ছে বই প্রকাশিত হওয়ার আগেই অর্ডার দিয়ে দেওয়া। যেমন ধরুন আপনার পরিচিত একজন লেখকের প্রকাশনী থেকে ঘোষণা এলো, তারা আগামী জুন মাসের ১ তারিখে ঐ লেখকের নির্দিষ্ট একটা বই প্রকাশ করবে। এখনও বইটা প্রেসেই যায়নি, জাস্ট পেজ মেকআপ তৈরি হয়েছে, প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে এবং দাম নির্ধারিত হয়েছে। এখন আপনি ইচ্ছে করলে এই মার্চ মাসেই বইটা অর্ডার করে রাখতে পারেন। এটাই প্রি-অর্ডার।
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কেন এই কাজটা করবেন? কোন ধরনের বইয়ের ক্ষেত্রে করবেন?
-
বইমেলা বিষয়ক ফানি স্ট্যাটাস সমগ্র
বইমেলা চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে বেশ কিছু ফানি স্ট্যাটাস দিয়েছি। কিছু আমার স্পাই স্টোরিজ বইয়ের প্রমোশনের অংশ হিসেবে, কিছু এমনিই। এখানে সেগুলো একত্রে তুলে রাখলাম।
– ১ –
ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ।
বইমেলা এলেই নিজের বইয়ের প্রচারণা দিয়ে নিউজফিড ভর্তি করে ফেলায় এতো বছর যাদেরকে মনে মনে গালমন্দ করেছিলাম, এ বছর তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি 🙂 আপনারাও দিন।
এখন হয়তো বুঝছেন না, একদিন নিজে বই বের করলে এর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন। কবি বলেছেন, দাঁত না থাকলে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।
-
সায়েন্স ফিকশন ও টু: যুদ্ধ যখন অক্সিজেনের জন্য
মোহাম্মদ সাইফূল ইসলাম তথা শান্তির দেবদূতের সায়েন্স ফিকশন ও টু নিয়ে এই রিভিউটি এখানে এবং বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছি সংক্ষিপ্ত আকারে। লেখক পরিচিতি, বইটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য খুঁটিনাটিসহ বিস্তারিত রিভিউটি পড়তে পারবেন Roar বাংলার এই লিঙ্ক থেকে।
মহেঞ্জোদারো সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত একটি চ্যাপ্টা পাথরখণ্ড এসে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের হাতে। তার হাতের স্পর্শে উপরের পাথরের আবরণ ঝরে পড়ে ভেতর থেকে আত্মপ্রকাশ করে স্বর্ণের তৈরি অত্যন্ত জটিল এবং অত্যাধুনিক এক ডিভাইস।
ডিভাইসটির ভেতরে থাকা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেটি এমন এক সময়ের, যখন পৃথিবী জিম্মি অক্সিরেটদের হাতে। কারা এই অক্সিরেট? যারা পৃথিবীর প্রতিটি অক্সিজেনের অনু-পরমাণুকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বেস্ট সেলার লিস্টের ভাঁওতাবাজি (আপডেটেড)
বইমেলার সাথে সাথে আবারও শুরু হয়েছে বেস্ট সেলার নিয়ে মাতামাতি। এটা প্রতিবারই ঘটে। কিন্তু আপনি কি জানেন, বেস্ট সেলার লিস্ট জিনিসটা ঠিক কীভাবে কাজ করে?
কেউ যদি বলে তার একটা বই রকমারি বেস্ট সেলার হয়েছে, তার মানে কি সেটা দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা? অথবা কোনো বই যদি ‘অ্যামাজন বেস্ট সেলার’ বা ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার’ তালিকায় স্থান করে নিতে পারে, তার মানে কি সেটা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা?
হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
-
বিলিয়ন ডলার স্পাই: স্পাই স্টোরিজ বইয়ের এক্সার্প্ট
সিআইএর মস্কো স্টেশনের ক্ল্যান্ডেস্টাইন অফিসার বিল প্লাঙ্কার্ট দুশ্চিন্তায় আছেন। তার আশঙ্কা, গত দুই দশকের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে সিআইএর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পাই “সি.কে. স্ফিয়ার” হয়তো কেজিবির হাতে ধরা পড়ে গেছে। ধরা না পড়লেও অন্তত কেজিবির সন্দেহের তালিকায় নিশ্চয়ই তার নাম উঠে গেছে।
আর যদি সেরকম কিছুই হয়ে থাকে, তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজেকে কেজিবির হাতে তুলে দেয়া। অথচ প্লাঙ্কার্টকে এখন ঠিক সেই কাজটিই করতে হবে।