-
“গল্পগুলো সিরিয়ার” PDF ফ্রি ডাউনলোড!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গল্পগুলো সিরিয়ার বইটা ডাউনলোড করতে আসার জন্য। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে – স্যরি ভাই, আপাতত কোনো ডাউনলোড লিঙ্ক দিচ্ছি না। এটা হচ্ছে এপ্রিল ফুল (জ্বী, আজকের তারিখটা ১লা এপ্রিল) বিষয়ক পোস্ট। অথবা বলতে পারেন এপ্রিল ফুল বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্ট। টাইটেলটা জাস্ট ফর অ্যাটেনশন 🙂
এপ্রিল ফুলের আসল ইতিহাস জানতে চাইলে রোর বাংলায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের এই পোস্ট, সচলায়তনের এই পোস্ট, অথবা মুহাম্মদ সজল ভাইর এই পোস্ট এবং এই পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন। তবে সংক্ষেপে ব্যাপারটা হচ্ছে, স্পেনে মুসলমানদের উপর প্রচুর নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, স্পেনে লাখ লাখ মুসলমানকে (এবং ইহুদীদেরকেও) হত্যা করা হয়েছে – এ সবই সত্য।
-
দ্য প্রফেট: ইহুদী লেখিকার মুগ্ধ বর্ণনায় রাসুল (সা)-এর জীবনী
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন রোর বাংলার এই লিঙ্ক থেকে।
মূল বইটির লেখিকা লেজলি হ্যাজেলটন একজন অ্যাগন犀利士 স্টিক ইহুদী। অ্যাগনস্টিক শব্দের অর্থ হচ্ছে অজ্ঞেয়বাদী। অর্থাৎ যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত না। এই তথ্য শোনার পরেই যেকোনো মুসলমানের মনে হতে পারে, এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একে ইহুদী, তার উপর অ্যাগনস্টিক, তিনি যখন রাসুল (সা) এর জীবনী লিখবেন, সেই জীবনী কি পড়া উচিত হবে? সেখানে তো নিশ্চয়ই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মিশ্রণ থাকবে, থাকবে ইহুদী দৃষ্টিভঙ্গি!
কিন্তু বইটি পড়লে বোঝা যায়, এই সন্দেহ পুরাই অমূলক। লেজলি হ্যাজেলটন এমনভাবে রাসুল (সা)-এর জীবনী তুলে ধরেছেন, অল্প কিছু জায়গা বাদে অধিকাংশ সময় পাঠকের মনেই হবে না যে তিনি ভিন্নধর্মী বা সংশয়বাদী কারো লেখা পড়ছেন।
(more…) -
সংকলিত: ফ্রিতে পড়ুন নতুন বইয়ের অধ্যায়!
ইংরেজি বিভিন্ন পত্রিকায়, বিশেষ করে ম্যাগাজিনগুলোতে আপনি প্রায়ই দেখবেন, নতুন কোনো বই প্রকাশিত হওয়ার আগেই তারা বইটির এক বা একাধিক অধ্যায় প্রকাশ করে থাকে।
এর ফলে দুটো লাভ হয়। একদিকে লেখক এবং প্রকাশক তাদের নতুন বইয়ের সংবাদ সহজে আগ্রহী পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। অন্যদিকে পাঠকরা সেই নতুন বইয়ের এক বা একাধিক অধ্যায় পড়ে নতুন কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে, লেখকের লেখনীর সাথে পরিচিত হতে পারে, এবং বইটি কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সংকলিত ডট কমের মাধ্যমে আমরা ঠিক এই কাজটিই করতে যাচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বা নতুন প্রকাশিতব্য বিভিন্ন বইয়ের নির্বাচিত এবং আকর্ষণীয় এক বা একাধিক অধ্যায়ের সংকলন আমরা এই ওয়েবসাইটের পাঠকদের সামনে তুলে ধরব। পাঠক সেগুলো পড়বে, নতুন কিছু জানবে, মুগ্ধ হবে, এবং সেই মুগ্ধতার পরিমাণ বেশি হলে আশা করা যায় বইগুলো কিনবে।
-
মুনজেরিন শহীদের বই যেভাবে বেস্টসেলার হয়
অনেকেই বুঝতে পারছে না মুনজেরিন শহিদের বই কীভাবে বেস্টসেলার হয়। আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষ আসলেই ইংরেজি শিখতে চায়। সেজন্য দলে দলে মুনজেরিনের ভিডিও দেখে। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়।
এটা মোটেও অস্বাভাবিক না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুনজেরিনের ভিডিও দেখে তো আর ইংরেজি শেখা সম্ভব না। মানে মুনজেরিনের রূপেই তো মানুষ বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে, শেখার দিকে মনোযোগ দিবে কখন?
সেজন্যই বাধ্য হয়ে সেই মিলিয়ন মিলিয়ন ইউটিউব ভিউয়ার তার বই কিনছে, যেন তার রূপ দ্বারা ডিসট্র্যাক্টেড না হয়ে সত্যি সত্যিই ইংরেজিটা শিখতে পারে। এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নাই।
— মুনজেরিন শহীদের ইংরেজি শেখার বইয়ে ভুল ইংরেজি ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনা চলছিল “এরকম নিম্নমানের বই” মানুষ কেন পড়ে? সেই প্রসঙ্গে লেখা।
-
কোন ধরনের বই কোন ফরম্যাটে পড়বেন?
বই মানেই বাঁধাই করা চামড়ার মলাটের ভেতর মুদ্রিত কাগজের সমষ্টি – এই ধারণাটা পুরনো হয়ে গেছে। বই এখন পড়া যেতে পারে পিডিএফ, ইপাব, মোবি বা অন্য যেকোনো ফরম্যাটে। অথবা বই শোনা যেতে পারে অডিও বুক থেকেও।
বই পড়া, জ্ঞান অর্জন করা কিংবা সাহিত্যের রস আস্বাদন করাই যদি আপনার মূল লক্ষ্য হয়, তাহলে আপনি হয়তো ফরম্যাটকে খুব একটা গুরুত্ব দিবেন না। স্থান-কাল ভেদে কিংবা সহজলভ্যতার উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য হয়তো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে বই পড়াই সবদিক থেকে উপকারী হতে পারে।
কথা হচ্ছে সব বই কি সব ফরম্যাটে পড়ার উপযোগী? বলা মুশকিল। এটা যার যার রুচি বা অভ্যাসের উপর নির্ভর করতে পারে। আমি বরং নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি – কোন ধরনের বই আমি কোন ফরম্যাটে পড়তে পছন্দ করি। আপনার পছন্দের সাথে নাও মিলতে পারে, তবে হয়তো একটা ধারণা পেতেও পারেন।
-
মুভি বনাম উপন্যাস: কোনটা ভালো?
অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, কোনো উপন্যাস অবলম্বনে মুভি বানানো হলে মুভিটা উপন্যাসের মতো ভালো হয় না। উপন্যাসে অনেক বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়, কল্পনার দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু দেখা যায়, মুভিতে সেই সুযোগ থাকে না।
এটা অনেকাংশে সত্য, কিন্তু সব সময় অবশ্যই না। এবং এই যে অনেকাংশেই সত্য, এর মধ্যেও একটা ঘাপলা আছে। ঘাপলাটা কী? ব্যাখ্যা করছি।
-
দ্য বেসিক ল’জ অফ হিউম্যান স্টুপিডিটি!
ইন্টারেস্টিং একটা বইয়ের সন্ধান পেলাম: দ্য বেসিক ল’জ অফ হিউম্যান স্টুপিডিটি (The Basic Laws of Human Stupidity)!
বইটা অবশ্য পড়িনি, জাস্ট একটা রিভিউ পড়লাম আর দুইটা ইউটিউব ভিডিও দেখলাম। লেখক পাঁচটি পয়েন্টে মানুষের স্টুপিডিটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরমধ্যে দ্বিতীয় পয়েন্টটা আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে। এটার মুল বক্তব্য হচ্ছে, বেকুব মানুষের অনুপাত সমাজের সব শ্রেণির মধ্যে মোটামুটি সমান।
অর্থাৎ, ধনীরা বুদ্ধিমান, গরীবরা বেকুব, বা সায়েন্স পড়ুয়ারা বুদ্ধিমান, আর্টস পড়ুয়ারা বেকুব, বা ক্ষমতাবানরা বুদ্ধিমান, আর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা বেকুব – এরকম কোনো কথা নাই। লেখকের মতে যদি রিকশাওয়ালাদের মধ্যে ৪০% মানুষ বেকুব থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্টদের মধ্যেও মোটামুটি ৪০% এর কাছাকাছি বেকুব থাকবে!
-
প্রি-অর্ডার কী? কখন করবেন? কখন করবেন না?
প্রি-অর্ডার নিয়ে অনেকের মধ্যেই কিছুটা কনফিউশন আছে। সো আমি যেটুকু বুঝেছি, সেটুকুই একটু ব্যাখ্যা করছি।
প্রি-অর্ডার জিনিসটা কী? আপনি কখন প্রি-অর্ডার করবেন? কখন করবেন না?
প্রি-অর্ডার হচ্ছে বই প্রকাশিত হওয়ার আগেই অর্ডার দিয়ে দেওয়া। যেমন ধরুন আপনার পরিচিত একজন লেখকের প্রকাশনী থেকে ঘোষণা এলো, তারা আগামী জুন মাসের ১ তারিখে ঐ লেখকের নির্দিষ্ট একটা বই প্রকাশ করবে। এখনও বইটা প্রেসেই যায়নি, জাস্ট পেজ মেকআপ তৈরি হয়েছে, প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে এবং দাম নির্ধারিত হয়েছে। এখন আপনি ইচ্ছে করলে এই মার্চ মাসেই বইটা অর্ডার করে রাখতে পারেন। এটাই প্রি-অর্ডার।
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কেন এই কাজটা করবেন? কোন ধরনের বইয়ের ক্ষেত্রে করবেন?