-
ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মো’আবিয়া (রা): অভিযোগের জবাব
ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মো’আবিয়া (রা) বইটির লেখক বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মুফতি তকী উসমানী। বইটির নাম এবং প্রশংসা শুনেছিলাম, কিন্তু বিষয়বস্তু বিস্তারিত জানতাম না। ভেবেছিলাম হযরত মুয়াবিয়ার (রা) জীবনী। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেরকম না।
বইটিকে দুই অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশ হচ্ছে মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব। এবং দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে মুয়াবিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন সাহাবিদের উক্তির সঙ্কলন, সেই সাথে মুয়াবিয়ার অতি সংক্ষিপ্ত জীবনী – মূলত শাসনকাল।
-
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ: কিছু নির্মোহ পয়েন্ট
পড়লাম বহুল আলোচিত-সমালোচিত বই – আরিফ আজাদের প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ম পর্ব। এটাকে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের ঠিক রিভিউ বলা যাবে না, এটা জাস্ট আবেগ বর্জিত কয়েকটা পয়েন্টে আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া:
১। বইয়ের কয়েকটা চ্যাপ্টার বেশ ভালো। বিশেষত যেসব চ্যাপ্টারে বিজ্ঞান নেই, শুধু দর্শন আছে, সেগুলো ভালো। সবচেয়ে ভালো সেসব অধ্যায়, যেগুলোতে কুরআনের মোজেজা বা কুরআন সম্পর্কে নাস্তিকদের সিলি প্রশ্নের জবাব তুলে ধরা হয়েছে। যেমন জুলকারনাইনের পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্যাস্ত, নারী মৌমাছি, মুসা (আ) বনাম ইউসুফ (আ) এর বাদশাহ টাইটেল এগুলো।
এগুলো অবশ্য জানা বিষয়। আরিফ আজাদ নিজে আবিষ্কার করেননি, সেটা তিনি দাবিও করেননি। কোনো টপিকের উপর বিভিন্ন স্থানে থাকা তথ্য নিজের ভাষায় লিখে, একত্রিত করে বই প্রকাশ করাটাও কৃতিত্বের কাজ। আর আমরা যারা ব্লগে বিচরণ করে বড় হয়েছি, তাদের কাছে এগুলো জানা হলেও নতুন পাঠকদের অনেকের কাছেই অজানা হতে পারে। তারা এই টপিকগুলো থেকে উপকৃত হবে।
-
প্রেসিডেন্ট মুরসি: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার দুটি লেখা
মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্মরণে প্রচ্ছদ প্রকাশন একটি বই প্রকাশ করেছে। “প্রেসিডেন্ট মুরসি: আরব বসন্ত থেকে শাহাদাত” শিরোনামের বইটি ঠিক সেই অর্থে মুরসির জীবনী না। এতে মূলত মুরসির জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর, বিশেষ করে তার রাষ্ট্রপ্রতিত্বের সময়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে আমার দুটি লেখাও স্থান পেয়েছে।
বইটিতে মোট ১৬টি লেখা আছে, মৌলিক এবং অনুবাদ মিলিয়ে। মৌলিক লেখকদের দুজন পরিচিত লেখক আছেন – ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী এবং ফেসবুকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক, মিসর প্রবাসী মোহাম্মদ নোমান ভাই।