-
লিবিয়ার প্রক্সিযুদ্ধের মূল্য দিচ্ছে বাংলাদেশীসহ প্রবাসী শ্রমিক এবং শরণার্থীরা: প্রথম আলোতে প্রকাশিত
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছরের এপ্রিলের ৪ তারিখে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ শুরু থেকেই ছিল মূলত আন্তর্জাতিক প্রক্সিযুদ্ধ বা ছায়াযুদ্ধ। গত সাড়ে সাত মাসে এর আন্তর্জাতিক রূপটি কেবল আরো প্রকট হয়েছে; অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্য দিয়েও, নিহত বেসামরিক জনগণের মধ্য দিয়েও।
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে এই মুহূর্তে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে অন্তত নয়টি দেশ। একদিকে পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের সেনাপ্রধান, ফিল্ড মার্শাল খালিফা হাফতারকে সাহায্য করছে প্রধানত আরব আমিরাত, কিন্তু তার সাথে আরো আছে মিসর, সৌদি আরব, ফ্রান্স, সুদান, জর্ডান এবং রাশিয়া। অন্যদিকে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার জিএনএর (গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ড) পক্ষে আছে প্রধানত তুরস্ক, এবং সেই সাথে সীমিত আকারে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে কাতার। আর এসব দেশের অর্থায়নে এবং এদের দেওয়া অস্ত্রের এলোপাথাড়ি গোলাগুলি এবং বিমান হামলায় নিহত হচ্ছে দুই পক্ষের লিবিয়ান যোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রায় এক ডজন দেশের নাগরিকরা।
-
গাদ্দাফির পতনের ছয় বছর: কেমন আছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা?
গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই লেখাটি লিখেছিলাম। প্রকাশিত হয়েছিল বিডিনিউজ ২৪ ডট কমে “লিবিয়ায় যেমন আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা” শিরোনামে। এতে ঐ সময় পর্যন্ত লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিস্থিতির পাশাপাশি লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র উঠে এসেছে।
প্রবাসগমনে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের জন্য লিবিয়া সব সময়ই আকর্ষণীয় একটা দেশ ছিল। লিবিয়াতে যাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ, উপার্জন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ভালো, কাগজপত্রের বৈধতা নিয়ে খুব বেশি কড়াকড়ি নেই, পুলিশি হয়রানি নেই, এবং সবচেয়ে বড় কথা, লিবিয়া হচ্ছে স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ, সস্তা এবং জনপ্রিয় রুট। কিন্তু এ সবই গাদ্দাফির আমলের কথা। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি আসছে কয়দিন পরেই। প্রশ্ন হচ্ছে, গাদ্দাফির পতনের পাঁচ বছর পর বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য লিবিয়া কতটুকু বসবাসযোগ্য?
-
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবস্থা: বণিক বার্তায় প্রকাশিত
লিবিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত পটভূমি এবং লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপর এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আমার এই কলামটি প্রকাশিত হয়েছে বণিক বার্তার সম্পাদকীয় বিভাগের অভিমত কলামে, গত ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে।
গত ছয় মাস ধরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দখলকে কেন্দ্র করে চলছে এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ, যেটাকে বিশ্লেষকদের অনেকেই লিবিয়ার তৃতীয় গৃহযুদ্ধ নামে অভিহিত করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, জুলাই মাস পর্যন্ত এই যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে বেসামরিক জনগণের সংখ্যাই শতাধিক। দুঃখজনকভাবে এদের মধ্যে আছে অন্তত ৯ জন বাংলাদেশীও!