-
আফগান যুদ্ধে আমেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু ব্যবসায়ীরা লাভবান
আফগানিস্তানে যে তাসের ঘরের মতো একের পর এলাকার পতন ঘটছে, এরকম ঘটনা কিন্তু একেবারেই নতুন না। অনেকেরই মনে থাকার কথা, ২০১৩-১৪ সালে ইরাকেও হুবহু একই ঘটনা ঘটেছিল।
ইরাকেও মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর আইসিস যখন আক্রমণ শুরু করে, তখন ম্যাজিকের মতো একের পর এক শহর তাদের হস্তগত হতে থাকে। লক্ষাধিক সৈন্যের মার্কিন-প্রশিক্ষিত ইরাকি সেনাবাহিনী কয়েকশো আইসিস জঙ্গির হাতে পরাজিত হয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আমেরিকার দেওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, সাঁজোয়া যান সব আইসিসের হাতে পড়ে। ফলে তারা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
-
ওমেন্স কর্নারে আমার সাক্ষাৎকার: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভাবনা
গত আগস্টের ১২ তারিখে ওমেন্স কর্নারের পক্ষ থেকে আমার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আমি আমার মতামত তুলে ধরার সুযোগ পাই। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে দেওয়া হলো। এছাড়া কেউ চাইলে মূল লিঙ্ক থেকেও পড়তে পারেন।
-
ফেসবুক সেলিব্রেটি স্লিপার এজেন্ট
একটা খুবই সিম্পল কমনসেন্সের কথা বলি। টপিক: স্লিপার এজেন্ট অথবা ডীপ আন্ডারকভার ডাবল এজেন্ট।
ব্লগে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন, তারা লক্ষ্য করে থাকবেন, এমন কিছু আইডি বা পেজ থাকে, যারা কোনো একটা দলের লোক সেজে সেই দলের জন্য ড্যামেজিং কথাবার্তা প্রচার করে।
ফেসবুকে অবশ্য এখন স্যাটায়ারিক্যাল পেজের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ব্যাপারটা খেলো হয়ে গেছে। কিন্তু পাঁচ-সাত বছর আগেও এমন অনেক পেজ ছিল, যেগুলো মূলত বিএনপির নামে আওয়ামী লীগ দ্বারা, বা আওয়ামী লীগের নামে বিএনপি দ্বারা পরিচালিত।
-
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: গ্রামে সংক্রমণ বেশি কেন?
গত বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আমি এবং আমার লিস্টের অনেকে অনেকগুলো সচেতনতামূলক লেখা লিখেছিলাম। রেসপন্স খুব একটা ভালো ছিল না। অনেকের কাছ থেকেই প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক কমেন্টের শিকার হয়েছি।
ইউরোপের অবস্থা দেখে আমাদের আশঙ্কা ছিল যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন না করলে বাংলাদেশেও সেরকম অবস্থা হতে পারে। আমাদের ভাগ্য ভালো সেরকম কিছু হয়নি। কারণটা সম্ভবত করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন জলবায়ুর, বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের উপর বিভিন্ন রকমের।
কিন্তু যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ আক্রান্ত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, সেখানে বাকি কিছু দেশে বেশি সংক্রমণ না হলে সেটাকে রুল হিসেবে না ধরে এক্সেপশন হিসেবে ধরাই ভালো। এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এবার হয়নি, কিন্তু পরের বারও যে হবে না, তার নিশ্চয়তা কী, সেটা চিন্তা করে সাবধান হওয়াই ভালো।
-
বিবিসিতে আমার সাক্ষাৎকার: সাইফ কি পারবে ক্ষমতায় ফিরতে?
গত আগস্টের ৩ তারিখে গাদ্দাফির পুত্র সাইফ আল-ইসলামের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঐ প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি জায়গায় আমার মন্তব্য নেওয়া হয়। নিচে প্রতিবেদনটির নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হলো:
আরব বসন্ত নিয়ে কি লিবিয়ানদের মোহভঙ্গ হয়েছে?
সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফির এই সাক্ষাৎকার এবং ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে তার আকাঙ্ক্ষা কতটা আগ্রহ তৈরি করেছে লিবিয়ায়?
লিবিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর সির্তের বাসিন্দা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী এবং ব্লগার মোজাম্মেল হোসেন তোহা বলেন, তোলপাড় না হলেও লিবিয়া এবং আরব বিশ্বের অনেক মিডিয়ায় এই সাক্ষাৎকারের খবর বেরিয়েছে এবং তা নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে।
-
টিকটক অ্যাপটাই কি হারাম?
কাউকে ইন্টারনেট চালানো, গুগলে সার্চ করা শেখালে কি পাপ হবে? গুনাহ হবে?
মানে বাংলাদেশের কনটেক্সটে চিন্তা করেন। আপনি নিজে হয়তো ভালো মানুষ, কিন্তু গুগলে গিয়ে ম্যাক্সিমাম বাংলাদেশী কী খোঁজে? দুবাইর “বুর্জ খলিফা” টাওয়ারের ছবি। স্ট্যাটিস্টিক্স সেটাই বলে।
একই কথা ইউটিউবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনি হয়তো ভালো কাজে ইউটিউব ব্যবহার করেন। কিন্তু সেখানেও সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা ভিডিওগুলো হচ্ছে “পাশের বাসার ভাবি” কী মজার খাবার রান্না করলেন, সেগুলো।
-
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ কি ফিরে আসছে?
সো, নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম অনুযায়ী, গাদ্দাফি’জ সান ওয়ান্টস টু টেক লিবিয়া ব্যাক!
সন্দেহ নাই, সাইফের নিজেরও সেরকমই ইচ্ছা। ফিরে আসার নিউজটা তাই সে ইজিপ্ট-বেজড নিজেদের জামাহিরিয়্যা টিভিতে দেয়নি। বা আরব কোনো মিডিয়াতে দেয়নি। দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসে। টার্গেট ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্স।
সে দেখতে চায়, এই শিরোনামের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া কী হয়। কারণ দেশের ভেতরের আইন, সংবিধান হয়তো ম্যানেজ করা সম্ভব, কিন্তু সাইফ যদি আসলেই লিবিয়ার রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে তার সামনে অন্যতম প্রধান বাধা হবে তার বিরুদ্ধে জারি থাকা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের ওয়ারেন্ট।
-
স্যাটায়ার: এক বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীর সৌদি সফর
এক বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী গিয়েছে সৌদি আরবে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে।
আপনারা জানেন, মোহাম্মদ বিন সালমান তথা এমবিএস তার দেশকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করছেন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রাইভেটাইজ করার চেষ্টা করছেন। মানুষকে উদ্যমী করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারপরেও তেলের টাকায় আরাম-আয়েশে সারা জীবন কাটিয়ে অভ্যস্ত জনগণ ঝিমিয়েই আছে।
তো বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীকে পেয়ে এমবিএস তাকে বললেন, ইয়া আখি, অর্থাৎ হে ভাই, আপনি তো তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবী, কাজেই আপনার মাথায় তো পচ্চুর বুদ্ধি, আমাকে একটু বুদ্ধি দেন কীভাবে আমার দেশের মানুষকে উদ্যমী বানাতে পারি।