-
অপারেশন অলিম্পিয়া: যেদিন সম্পূর্ণ পিএলও নেতৃত্বকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ইসরায়েল!
আজকের দিনটায় (১ জানুয়ারি) ঘটতে যাচ্ছিল অপারেশন অলিম্পিয়া – বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম বর্বোরিত একটা সন্ত্রাসী হামলা। আর সেটা ঘটাতে যাচ্ছিল ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের পিএলও নেতাদের উপর।
১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি পিএলওর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লেবাননের বৈরুত স্টেডিয়ামে একটা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পিএলওর চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত, তার ঘনিষ্ঠ সহকারী আবু আইয়্যাদ, আবু জিহাদসহ পিএলওর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
-
আবু মোহাম্মদ আল-মাসরির প্রোফাইল: ২০২০ বেস্ট আর্টিকেলস
১৯৯৮ সালের শেষের দিকে আল-কায়েদার এক মিসরীয় জিহাদি নেতা আফ্রিকা থেকে আফগানিস্তানে উপস্থিত হয়। এর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সে সোমালিয়া, কেনিয়া এবং তাঞ্জানিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছিল।
তার দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালিয়ান গেরিলাই ব্ল্যাক হক ডাউন করে মার্কিন সেনাদের লাশ মোগাদিশুর রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। এবং তার পরিকল্পনাতেই সংঘটিত হয়েছিল ইস্ট আফ্রিকা এম্বাসী বম্বিং, যেই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছিল দুই শতাধিক, আহত হয়েছিল চার সহস্রাধিক, যাদের অধিকাংশই ছিল আফ্রিকান সিভিলিয়ান।
তার নাম ছিল আবু মোহাম্মদ আল-মাসরি।
-
কেমন হবে বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য নীতি? (প্রথম আলোয় প্রকাশিত)
মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তারপরেও প্রতি চার বছর পরপর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাথে সাথে তাদের ভাগ্যও পরিবর্তিত হয়। ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাই প্রশ্ন উঠছে, তার এ বিজয়ের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ভাগ্য কতটুকু পরিবর্তিত হবে? তিনি কি ট্রাম্পের নীতির বিপরীতে গিয়ে ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাবেন? ওবামার নীতিতে ফেরত গিয়ে ইরানের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন, একাধিক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আন্দোলনকে সমর্থন এবং সহায়তা দিয়ে নতুন নতুন গৃহযুদ্ধ সৃষ্টিতে অবদান রাখবেন? নাকি মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে তিনি অনুসরণ করবেন এই দুয়ের মাঝামাঝি কোনো নীতি?
-
বর্ন এ কিং: রূপালি পর্দায় বাদশাহ ফয়সাল
বর্ন এ কিং (Born a King) (2019) – পুরাই আনএক্সপেক্টেড একটা মুভি। সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আব্দুল আজিজের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের চিত্রায়ন।
সিনেমার কাহিনী ১৯১৯ সালের। সে সময় ব্রিটিশ সরকার আব্দুল আজিজ বিন সৌদকে ব্রিটেন সফরের নিমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু আব্দুল আজিজ তখন শেরিফ হুসেইনের সাথে যুদ্ধের আশঙ্কায় দেশ ত্যাগ করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। তার পরিবর্তে তিনি ইংল্যান্ডে পাঠান তার ছেলে, ভবিষ্যত বাদশাহ ফয়সালকে। সে সময় বাদশাহ ফয়সাল ছিলেন মাত্র ১৪ বছর বয়সী!
-
মিউনিখ ম্যাসাকার: অপারেশন ইক্রিত ওয়া বিরাম
১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে (৫ সেপ্টেম্বর) সংঘটিত হয়েছিল অপারেশন “ইক্রিত ওয়া বিরাম”। নামটি এসেছে ফিলিস্তিনের দুটি খ্রিস্টান-প্রধান গ্রাম “ইক্রিত” এবং “বিরাম” থেকে, যাদের অধিবাসীদেরকে জায়নিস্টরা ১৯৪৮ সালে উচ্ছেদ করেছিল।
অপারেশনের অধীনে “ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর” নামে একটি ফিলিস্তিনি গেরিলা সংগঠন জার্মানির মিউনিখের অলিম্পিক ভিলেজে ঢুকে পড়ে এবং ১১ জন ইসরায়েলি খেলোয়াড় ও কোচকে জিম্মি করে।
তাদের মুক্তিপণ হিসেবে তারা ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ২৩৪ জন ফিলিস্তিনির এবং জার্মানির কারাগারে বন্দী বামপন্থী গেরিলা সংগঠন “রেড আর্মি ফ্যাকশন” তথা “বাদর-মেইনহফ” এর বন্দীদের মুক্তির দাবি জানায়।
কিন্তু ইসরায়েল আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়ায় এবং জার্মানির পুলিশের অদক্ষতায় জিম্মি নাটক শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়। বন্দী ১১ জন ইসরায়েলির সবাই, এক জার্মান পুলিশ অফিসার এবং ৫ জন ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর সদস্য নিহত হয়।
তাদের বাকি তিন জন সদস্য গ্রেপ্তার হয়, কিন্তু পরবর্তীতে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের প্রতিশোধের ভয়ে জার্মানি তাদেরকে মুক্তি দেয়। লিবিয়া তাদেরকে বীরের বেশে বিপুল সংবর্ধনা দিয়ে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানায়।
মিউনিখে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রচলিতভাবে মিউনিখ ম্যাসাকার নামে পরিচিত।
-
স্পাই স্টোরিজে শুধু সিআইএ-মোসাদেরই কাহিনী কেন?
এই প্রশ্নটা আমাকে বেশ কয়েকজন করেছে – স্পাই স্টোরিজ পড়তে ভালো লেগেছে, কিন্তু শুধু সিআইএ-মোসাদের গল্পই কেন? মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর গোয়েন্দাদের এরকম কোনো গল্প পাওয়া যায় না?
উত্তর হচ্ছে, আসলেই পাওয়া যায় না। এর কয়েকটা কারণ আছে।
প্রথমত, আমি যে সময়টার গল্প বলতে চেয়েছি, অর্থাৎ আধুনিক সময়ের, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের বিশ্বের, এ সময় দুর্ভাগ্যবশত মুসলমানরা কেবল পরাজিতই হয়েছে। আর রাজনৈতিক বা সামরিক জয়-পরাজয়ের সাথে ইন্টালিজেন্সের সরাসরি সম্পর্ক থাকে।
-
প্রিন্সেস সারভাত: যে বাঙালি নারী হতে যাচ্ছিলেন জর্ডানের রানি!
তার নাম প্রিন্সেস সারভাত (সারওয়াত) একরামউল্লাহ। জন্ম কলকাতায়। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব, আর মা ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম দুই নারী এমপির একজন।
কিন্তু তার আরও দুটি পরিচয়ও আছে। তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের এককালের প্রধানমন্ত্রী, এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর ভাগ্নি। তার মা ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর মামাতো বোন। একইসাথে তিনি বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের শ্যালিকা। এবং এই সারভাতেরই হওয়ার কথা ছিল জর্ডানের রানি!
-
লা মিজারেবলস: ফ্রান্স কাঁপানো রায়টের সত্য ঘটনা নিয়ে যে মুভি
চমৎকার একটা ফ্রেঞ্চ মুভি লা মিজারেবলস (Les Misérables)। লুজলি বেজড অন এ ট্রু স্টোরি। এবং স্টোরিটা ঘটেছিল পরিচালকের নিজের জীবনেই!
মালিয়ান বংশোদ্ভূত পরিচালক লাজ লি ছিলেন ফ্রান্সের দরিদ্র এলাকার এক রাবিশ কালেক্টরের ছেলে। ছোটকাল থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ গরীবদের উপর ফ্রান্সের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতন দেখে বড় হয়েছেন তিনি। একটু বড় হওয়ার পর যখন হাতে একটি হ্যান্ডহেল্ড ভিডিও ক্যামেরা পান, তখন থেকে সেটা দিয়ে পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও করতে শুরু করেন তিনি।