হোটেল মুম্বাই: তাজ হোটেলে অবরুদ্ধ ১২ ঘণ্টা

গত বছর দেখেছিলাম হোটেল মুম্বাই (Hotel Mumbai) (2018)। ২০০৮ সালের মুম্বাই সিরিজ অ্যাটাকের উপর নির্মিত অস্ট্রেলিয়ান মুভি।

ভারতের মুম্বাইয়ে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্করে তৈয়বার ঐ সিরিজ আক্রমণে মোট ১৬৬জন নিহত হয়েছিল। মোট ১২টি কোর্ডিনেটেড অ্যাটাক হয়েছিল। এর মধ্যে মুভিতে শুধু মুম্বাইর তাজ হোটেলের আক্রমণটার উপরেই ফোকাস করা হয়েছে।

হোটেলটাতে সে সময় অনেক হাই প্রোফাইল বিদেশী গেস্ট অবস্থান করছিল। আক্রমণের পর জিম্মি অবস্থায় তাদের বাঁচার চেষ্টা এবং তাদেরকে বাঁচানোর জন্য হোটেল স্টাফদের আত্মত্যাগই মুভির মূল বিষয়।

হোটেল মুম্বাই সিনেমাটি “বেজড অন ট্রু ইভেন্টস”। বাস্তবে অবশ্য এর অধিকাংশ চরিত্রই কাল্পনিক। এমনকি অর্জুন (দেব প্যাটেল) এবং জাহরার (নাজানিন বুনিয়াদি) পরিবারের চরিত্রগুলো মূলত একাধিক ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতার সমন্বিত রূপ।

আরও পড়ুন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো আসলে কতটুকু সত্য?

তবে হেড শেফ হেমন্ত ওবেরয়ের (অনুপম খের) চরিত্রটি আসল। তিনি এবং তার স্টাফরা সত্যি সত্যিই গেস্টদেরকে রক্ষা করার জন্য নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হোটেলের ভেতর রয়ে গিয়েছিলেন।

হোটেল মুম্বাই সিনেমাটির কিছু কিছু ঘটনা অতি নাটকীয় মনে হতে পারে। কিন্তু তারপরেও হস্টেজ সিচুয়েশন এবং সাসপেন্স বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে। কিছু কিছু জায়গা পুরাই শ্বাসরুদ্ধকর। পরিচালক অ্যান্থনি মারাসের প্রথম ফিচার ফিল্ম এটা। সে হিসেবে চমৎকার কাজ ছিল।

মুভিটার আইএমডিবি রেটিং: ৭.৬। পার্সনাল রেটিং ৭।

আমার সবগুলো মুভি রিভিউ এবং মুভি বিষয়ক অন্যান্য লেখা একত্রে পাবেন এই লিঙ্কে

Mozammel Hossain Toha
Mozammel Hossain Toha

জন্মের পর থেকেই লিবিয়ায় আছি। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছি একেবারে সামনে থেকে। আর সে কারণেই পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্ত্বেও আগ্রহ গড়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস এবং রাজনীতিকে ঘিরে।

নিয়মিত লেখালেখি করছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলোচনা করছি ইউটিউবে। এখন পর্যন্ত তিনটা বই প্রকাশিত হয়েছে: স্পাই স্টোরিজ, স্পাই স্টোরিজ ২ এবং গল্পগুলো সিরিয়ার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *