বিবিধ
-
নিউজ সাইটগুলোর প্রিমিয়াম আর্টিকেল যেভাবে পড়বেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে!
ফ্রি নিউজ পড়ার দিন প্রায় শেষ হয়ে আসছে। প্রায় কোনো নামিদামি পত্রিকাই এখন আর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক আর্টিকেলের বেশি ফ্রি পড়তে দেয় না। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্কার, ফরেন অ্যাফেয়ার্স – এরা প্রত্যেকেই এখন পে-ওয়াল সিস্টেমে চলে গেছে। এদের প্রিমিয়াম আর্টিকেল পড়তে চাইলেই টাকা দাবি করে বসে। কিন্তু এতো টাকা আমরা পাবো কই?
দুশ্চিন্তার কিছু নাই। প্রিমিয়াম আর্টিকেলগুলোর এই পে-ওয়াল সিস্টেমও বাইপাস করার কিছু উপায় আছে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে বাইপাস করাটা খুবই সহজ, প্রায় সব সাইটের নিউজই বাইপাস করা যায়। সেই তুলনায় মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে একটু সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে আমি তিনটা টিপস দিচ্ছি। প্রথম দুইটা মোবাইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কিন্তু অনেক সাইটের ক্ষেত্রে কাজ করবে না। আর তৃতীয়টা ব্রাউজারের জন্য, কিন্তু বহুল ব্যবহৃত প্রায় সব সাইটের জন্য পারফেক্ট।
-
আপনি যেভাবে রোর বাংলার লেখক হবেন (৬টি অব্যর্থ টিপস)
রোর বাংলা আবারও লেখক নিচ্ছে। যদিও আমি জাস্ট একজন লেখক, রোর বাংলার সম্পাদকীয় প্যানেলের কেউ না, তারপরেও প্রতিবারই রোর বাংলার লেখক চাই বিজ্ঞাপন শেয়ার করলে পরিচিত-অপরিচিত অনেকে ইনবক্সে যোগাযোগ করে। বিভিন্ন টিপস জানতে চায়। অনেকে বিজ্ঞাপন ছাড়াও এমনিতে নিজের লেখার স্যাম্পল পাঠায় সম্পাদকদের কাছে পাঠানোর জন্য।
তো সেজন্যই এই লেখাটা লিখলাম। যারা রোর বাংলায় লিখতে আগ্রহী, আশা করি তাদের কাজে লাগবে। যদিও আমি লেখক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত নই, কিন্তু যেহেতু আমি নিজেও স্যাম্পল পাঠিয়েই নির্বাচিত হয়েছি এবং এরপর অনেকের স্যাম্পলকে রিজেক্ট হতে দেখেছি, তাই আমার ধারণা এ ব্যাপারে আমার মোটামুটি ভালো একটা আইডিয়া তৈরি হয়েছে।
-
বেস্ট সেলার লিস্টের ভাঁওতাবাজি (আপডেটেড)
বইমেলার সাথে সাথে আবারও শুরু হয়েছে বেস্ট সেলার নিয়ে মাতামাতি। এটা প্রতিবারই ঘটে। কিন্তু আপনি কি জানেন, বেস্ট সেলার লিস্ট জিনিসটা ঠিক কীভাবে কাজ করে?
কেউ যদি বলে তার একটা বই রকমারি বেস্ট সেলার হয়েছে, তার মানে কি সেটা দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা? অথবা কোনো বই যদি ‘অ্যামাজন বেস্ট সেলার’ বা ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার’ তালিকায় স্থান করে নিতে পারে, তার মানে কি সেটা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা?
হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
-
ভাইরাসের নামকরণের রাজনীতি
চীনের উহান থেকে যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে, এখন পর্যন্ত তার কোনো আনুষ্ঠানিক নাম নেই। কেন নেই? কারণ ভাইরাসের নামকরণের ব্যাপারটা আসলে একটু জটিল। এ ধরনের প্রাণঘাতী ভাইরাসের নাম যা খুশি তা রেখে দেওয়া যায় না। অপরিকল্পিত নামকরণের প্রভাব অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদে খোদ ভাইরাসের চেয়েও বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সাময়িকভাবে ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে 2019-nCoV, অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯। এবং এ কারণে গণমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাসটি শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস নামেই পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু করোনা কিংবা নভেল করোনা ২০১৯ – কোনোটিই অর্থবহ, পূর্ণাঙ্গ নাম না। করোনা ভাইরাস বলতে সুনির্দিষ্ট কিছুই বোঝা যায় না। এটি এই ধরনের ভাইরাসের সাধারণ নাম। এর আগের সার্স, মার্স-সহ অনেকগুলো ভাইরাসও ছিল করোনা ভাইরাস।
-
এক কবির কাছে খলিফা আল-মানসুর যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছিলেন
আবু জাফর আল-মানসুর ছিলেন দ্বিতীয় আব্বাসীয় খলিফা, যিনি প্রধানত খলিফা আল-মানসুর নামেই পরিচিত। কথিত আছে, তিনি কবিদের উপর বেশ ক্ষিপ্ত ছিলেন। কারণ তার মতে কবিরা যেভাবে শুধু কয়েক লাইন কবিতা শুনিয়ে শাসকদেরকে খুশি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে নিত, তার দৃষ্টিতে তা ছিল পুরো ডাকাতি।
তো কবিদেরকে জব্দ করার জন্য তিনি এক অভিনব নিয়ম চালু করেছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো কবির কবিতা যদি সম্পূর্ণ নতুন না হয়, তাহলে তিনি তাকে এক পয়সাও দিবেন না, উল্টো রাজদরবারে তার কবিতা আবৃত্তি করার অধিকার রহিত করে দিবেন। কিন্তু যদি কেউ সম্পূর্ণ নতুন কবিতা শোনাতে পারে, তাহলে কবিতাটার ওজনের সমমূল্যের স্বর্ণমুদ্রা তাকে উপহার দিবেন।
খুব সহজ শর্ত মনে হচ্ছে? মোটেই না। কারণ আল-মানসুর ছিলেন অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী। যেকোনো কবিতা তিনি একবার শুনেই হুবহু মুখস্ত বলে দিতে পারতেন। ফলে যে কবিই তাকে নতুন লেখা কবিতা শোনাতে আসত, একবার শোনার পরেই তিনি বলতেন – এই কবিতা তো আমি আগেই শুনেছি! এই যে দেখ, এটা আমার হুবহু মুখস্ত আছে!