-
আমাজিঘ: উত্তর আফ্রিকার বঞ্চিত আদিবাসী মুক্ত মানবেরা
উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর আরবি ভাষাভাষী জনগণকে নিয়ে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন আছে- তারা কি আফ্রিকান, নাকি আরব? ভৌগলিক দিক থেকে উত্তর আফ্রিকা পরিষ্কারভাবেই আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে এর আরবি ভাষাভাষী জনগণও আফ্রিকান। কিন্তু জাতিগত দিক থেকে?
জাতিগত দিক থেকে উত্তর আফ্রিকার জনগণের এক অংশ নিঃসন্দেহে আরব। সপ্তম শতকে ইসলাম প্রচারের জন্য আরবরা যখন উত্তর আফ্রিকায় অভিযান চালায়, তারপর থেকে তাদের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। কালক্রমে ব্যবসায়িক এবং প্রশাসনিক কারণেও আরব উপদ্বীপ থেকে অনেকে উত্তর আফ্রিকায় পাড়ি জমায়। বর্তমানে উত্তর আফ্রিকার জনগণের একটা অংশ তাদেরই বংশধর।
-
স্পাই স্টোরিজ PDF ফ্রি ডাউনলোড!
-
বইমেলা বিষয়ক ফানি স্ট্যাটাস সমগ্র
বইমেলা চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে বেশ কিছু ফানি স্ট্যাটাস দিয়েছি। কিছু আমার স্পাই স্টোরিজ বইয়ের প্রমোশনের অংশ হিসেবে, কিছু এমনিই। এখানে সেগুলো একত্রে তুলে রাখলাম।
– ১ –
ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ।
বইমেলা এলেই নিজের বইয়ের প্রচারণা দিয়ে নিউজফিড ভর্তি করে ফেলায় এতো বছর যাদেরকে মনে মনে গালমন্দ করেছিলাম, এ বছর তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি 🙂 আপনারাও দিন।
এখন হয়তো বুঝছেন না, একদিন নিজে বই বের করলে এর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন। কবি বলেছেন, দাঁত না থাকলে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।
-
ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কী?
নিউজে বা মুভিতে প্রায়ই ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কথাটা শোনা যায়। কিন্তু জিনিসটা কী?
রাষ্ট্রের স্বার্থে অনেক তথ্যকেই সিক্রেট বা টপ সিক্রেট ক্যাটাগরিতে ফেলে পাবলিকের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। ১০, ২৫ বা ৫০ বছর পর্যন্ত সেগুলো গোপন থাকতে পারে।
এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, কিংবা কখনও কখনও এর আগেই কেউ ফ্রিডম অফ ইনফরম্যাশন অ্যাক্ট জাতীয় কোনো ধারায় রিকোয়েস্ট করলে, কিংবা মামলা ঠুকে দিলে, অনেক সময় সরকার কিংবা গোয়েন্দাসংস্থাগুলো কিছু তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
গোপন তথ্য প্রকাশ করার এই প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ডিক্লাসিফিকেশন। আর এই প্রক্রিয়ায় ডিক্লাসিফাই করা ডকুমেন্টকে বলা হয় ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আগে কোনো ডকুমেন্ট “টপ সিক্রেট” হিসেবে ক্লাসিফাইড ছিল, এখন সেটাকে ডিক্লাসিফাই করা হয়েছে।
-
নিউজ সাইটগুলোর প্রিমিয়াম আর্টিকেল যেভাবে পড়বেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে!
ফ্রি নিউজ পড়ার দিন প্রায় শেষ হয়ে আসছে। প্রায় কোনো নামিদামি পত্রিকাই এখন আর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক আর্টিকেলের বেশি ফ্রি পড়তে দেয় না। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্কার, ফরেন অ্যাফেয়ার্স – এরা প্রত্যেকেই এখন পে-ওয়াল সিস্টেমে চলে গেছে। এদের প্রিমিয়াম আর্টিকেল পড়তে চাইলেই টাকা দাবি করে বসে। কিন্তু এতো টাকা আমরা পাবো কই?
দুশ্চিন্তার কিছু নাই। প্রিমিয়াম আর্টিকেলগুলোর এই পে-ওয়াল সিস্টেমও বাইপাস করার কিছু উপায় আছে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে বাইপাস করাটা খুবই সহজ, প্রায় সব সাইটের নিউজই বাইপাস করা যায়। সেই তুলনায় মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে একটু সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে আমি তিনটা টিপস দিচ্ছি। প্রথম দুইটা মোবাইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কিন্তু অনেক সাইটের ক্ষেত্রে কাজ করবে না। আর তৃতীয়টা ব্রাউজারের জন্য, কিন্তু বহুল ব্যবহৃত প্রায় সব সাইটের জন্য পারফেক্ট।
-
আপনি যেভাবে রোর বাংলার লেখক হবেন (৬টি অব্যর্থ টিপস)
রোর বাংলা আবারও লেখক নিচ্ছে। যদিও আমি জাস্ট একজন লেখক, রোর বাংলার সম্পাদকীয় প্যানেলের কেউ না, তারপরেও প্রতিবারই রোর বাংলার লেখক চাই বিজ্ঞাপন শেয়ার করলে পরিচিত-অপরিচিত অনেকে ইনবক্সে যোগাযোগ করে। বিভিন্ন টিপস জানতে চায়। অনেকে বিজ্ঞাপন ছাড়াও এমনিতে নিজের লেখার স্যাম্পল পাঠায় সম্পাদকদের কাছে পাঠানোর জন্য।
তো সেজন্যই এই লেখাটা লিখলাম। যারা রোর বাংলায় লিখতে আগ্রহী, আশা করি তাদের কাজে লাগবে। যদিও আমি লেখক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত নই, কিন্তু যেহেতু আমি নিজেও স্যাম্পল পাঠিয়েই নির্বাচিত হয়েছি এবং এরপর অনেকের স্যাম্পলকে রিজেক্ট হতে দেখেছি, তাই আমার ধারণা এ ব্যাপারে আমার মোটামুটি ভালো একটা আইডিয়া তৈরি হয়েছে।
-
বেস্ট সেলার লিস্টের ভাঁওতাবাজি (আপডেটেড)
বইমেলার সাথে সাথে আবারও শুরু হয়েছে বেস্ট সেলার নিয়ে মাতামাতি। এটা প্রতিবারই ঘটে। কিন্তু আপনি কি জানেন, বেস্ট সেলার লিস্ট জিনিসটা ঠিক কীভাবে কাজ করে?
কেউ যদি বলে তার একটা বই রকমারি বেস্ট সেলার হয়েছে, তার মানে কি সেটা দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা? অথবা কোনো বই যদি ‘অ্যামাজন বেস্ট সেলার’ বা ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার’ তালিকায় স্থান করে নিতে পারে, তার মানে কি সেটা সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের মধ্যে একটা?
হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
-
ভাইরাসের নামকরণের রাজনীতি
চীনের উহান থেকে যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে, এখন পর্যন্ত তার কোনো আনুষ্ঠানিক নাম নেই। কেন নেই? কারণ ভাইরাসের নামকরণের ব্যাপারটা আসলে একটু জটিল। এ ধরনের প্রাণঘাতী ভাইরাসের নাম যা খুশি তা রেখে দেওয়া যায় না। অপরিকল্পিত নামকরণের প্রভাব অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদে খোদ ভাইরাসের চেয়েও বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সাময়িকভাবে ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে 2019-nCoV, অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯। এবং এ কারণে গণমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাসটি শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস নামেই পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু করোনা কিংবা নভেল করোনা ২০১৯ – কোনোটিই অর্থবহ, পূর্ণাঙ্গ নাম না। করোনা ভাইরাস বলতে সুনির্দিষ্ট কিছুই বোঝা যায় না। এটি এই ধরনের ভাইরাসের সাধারণ নাম। এর আগের সার্স, মার্স-সহ অনেকগুলো ভাইরাসও ছিল করোনা ভাইরাস।