-
ফ্রান্স: বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি
ফ্রান্স হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি।
ভাগ্যবান এই কারণে, অধিকাংশ মানুষ সারাদিন আমেরিকা আর ইসরায়েলকেই গালাগালি করে। গত কয়েক বছরে অবশ্য সিরিয়া আর শিংজিয়াংয়ের কারণে রাশিয়া এবং চীনকেও অনেকে গালাগালি করা শুরু করছে। কিন্তু ফ্রান্সের নাম কারো মুখে শোনাই যায় না। অথচ ফ্রান্সের অন্যায় এদের কারো চেয়ে কোনো দিক থেকে কম না। ফ্রান্সই একমাত্র সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি, যারা এখনও তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোকে প্রায় আগের মতোই শোষণ করে যাচ্ছে।
ফ্রান্স টিকেই আছে আফ্রিকাকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে। এটা গোপন কিছু না। সময়ে সময়ে ফরাসিরা নিজেরাও এটা স্বীকার করে। সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরা ১৯৫৭ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আফ্রিকার উপর নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে না পারলে একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ফ্রান্সের কোনো জায়গা থাকবে না। পাঁচ দশক পর তার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ২০০৮ সালে সেটা আবারও নিশ্চিত করে বলেছিলেন, আফ্রিকা না থাকলে ফ্রান্স তৃতীয় বিশ্বের তালিকায় ছিটকে পড়ত। তিনি পরিষ্কারভাবেই স্বীকার করেছিলেন, ফ্রান্সের ব্যাঙ্কগুলোতে যে টাকা আছে, তার একটা বড় অংশ এসেছে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে।
-
১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা অধ্যায়
২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সেদিন লিবিয়াতেও শুরু হয়েছিল গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, যার ধারাবাহিকতায় আট মাস পর ঘটেছিল বেয়াল্লিশ ধরে ক্ষমতায় থাকা লৌহ মানব গাদ্দাফির পতন। কিন্তু ঠিক কী কারণে, কীভাবে শুরু হয়েছিল এ বিদ্রোহ? আর ঠিক কীভাবেই পতন হয়েছিল গাদ্দাফীর? সেই ইতিহাসই তুলে ধরলাম এ লেখায়। লেখাটি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
আরব আমিরাত: মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইসরায়েল
আরব আমিরাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইসরায়েল। কোনো দিন যদি কোনো গায়েবী উপায়ে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, আরব আমিরাত অনায়াসেই সেই শূন্যস্থান পূরণ করে নিতে পারবে।
আনলাইক অ্যানি আদার আরব কান্ট্রি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তথা ইউএইর (আরবিতে সংক্ষেপে ইমারাত বলে, আমি সেটা বলতেই অভ্যস্ত, এরপর থেকে আরব আমিরাতকে শুধু ইমারাত হিসেবে উল্লেখ করব) রাজনীতি আগ্রাসনমূলক। এ পর্যন্ত তারা বিশ্বের সাড়ে ছয়টা দেশে সরাসরি নিজেদের সেনাবাহিনী নিযুক্ত করেছে: ইরাক, কসোভো, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন এবং সো কলড ইসলামিক স্টেট (হেন্স হাফ এ কান্ট্রি)।
আরব বিশ্বের মধ্যে ইমারাতের সামরিক সক্ষমতা এবং সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অন্য যে কারো চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তারা এমন এক শক্তিশালী মিটিলারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে গড়ে তুলতে চায়, যেন রেজিওনাল কোনো হুমকির মুখে পড়লে আমেরিকা বা ইসরায়েলের কাছ থেকে সাহায্য এসে পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত নিজেরাই নিজেদেরকে ডিফেন্ড করতে পারে।
-
প্রেসিডেন্ট মুরসি: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার দুটি লেখা
মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্মরণে প্রচ্ছদ প্রকাশন একটি বই প্রকাশ করেছে। “প্রেসিডেন্ট মুরসি: আরব বসন্ত থেকে শাহাদাত” শিরোনামের বইটি ঠিক সেই অর্থে মুরসির জীবনী না। এতে মূলত মুরসির জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর, বিশেষ করে তার রাষ্ট্রপ্রতিত্বের সময়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে আমার দুটি লেখাও স্থান পেয়েছে।
বইটিতে মোট ১৬টি লেখা আছে, মৌলিক এবং অনুবাদ মিলিয়ে। মৌলিক লেখকদের দুজন পরিচিত লেখক আছেন – ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী এবং ফেসবুকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক, মিসর প্রবাসী মোহাম্মদ নোমান ভাই।