স্যাটায়ার
-
স্যাটায়ার: এক বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীর সৌদি সফর
এক বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী গিয়েছে সৌদি আরবে। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে।
আপনারা জানেন, মোহাম্মদ বিন সালমান তথা এমবিএস তার দেশকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করছেন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রাইভেটাইজ করার চেষ্টা করছেন। মানুষকে উদ্যমী করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারপরেও তেলের টাকায় আরাম-আয়েশে সারা জীবন কাটিয়ে অভ্যস্ত জনগণ ঝিমিয়েই আছে।
তো বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবীকে পেয়ে এমবিএস তাকে বললেন, ইয়া আখি, অর্থাৎ হে ভাই, আপনি তো তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবী, কাজেই আপনার মাথায় তো পচ্চুর বুদ্ধি, আমাকে একটু বুদ্ধি দেন কীভাবে আমার দেশের মানুষকে উদ্যমী বানাতে পারি।
-
মাতিল্দা মুভি কি নিতু ও তার বন্ধুরা বইয়ের নকল?
দুষ্টু লোকেরা অভিযোগ করে, স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিতু আর তার বন্ধুরা (১৯৯৯) বইটা নাকি Matilda (1996) মুভির নকল। শুধু মূলভাবটা না, সিন বাই সিন নাকি নকল।
এ কথা সত্য, নিতু আর তার বন্ধুরা বইয়ের মতো মাতিল্দা মুভিতেও বদমেজাজি, অত্যাচারী প্রিন্সিপাল থাকে। মুভিতে মাতিল্দা প্রিন্সিপালকে শায়েস্তা করার জন্য তার পানির গ্লাসে টিকটিকি ছেড়ে দেয়। আর বইয়ে নিতু খোরাসানি ম্যাডামের বিছানায় মাকড়শা ছেড়ে দেয়।
মুভিতে মাতিল্দার টেলিকাইনেটিক পাওয়ার থাকে, যা দিয়ে সে প্রিন্সিপালকে ভয় দেখায়। বইয়ে নিতু তার গলার ফ্রিকোয়েন্সিকে কাজে লাগিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে খোরাসানি ম্যাডামের মাথার উপর ফেলে।
-
মুনজেরিন শহীদের বই যেভাবে বেস্টসেলার হয়
অনেকেই বুঝতে পারছে না মুনজেরিন শহিদের বই কীভাবে বেস্টসেলার হয়। আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষ আসলেই ইংরেজি শিখতে চায়। সেজন্য দলে দলে মুনজেরিনের ভিডিও দেখে। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয়।
এটা মোটেও অস্বাভাবিক না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুনজেরিনের ভিডিও দেখে তো আর ইংরেজি শেখা সম্ভব না। মানে মুনজেরিনের রূপেই তো মানুষ বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে, শেখার দিকে মনোযোগ দিবে কখন?
সেজন্যই বাধ্য হয়ে সেই মিলিয়ন মিলিয়ন ইউটিউব ভিউয়ার তার বই কিনছে, যেন তার রূপ দ্বারা ডিসট্র্যাক্টেড না হয়ে সত্যি সত্যিই ইংরেজিটা শিখতে পারে। এর মধ্যে রাজনীতির কিছু নাই।
— মুনজেরিন শহীদের ইংরেজি শেখার বইয়ে ভুল ইংরেজি ভাইরাল হওয়ার পর আলোচনা চলছিল “এরকম নিম্নমানের বই” মানুষ কেন পড়ে? সেই প্রসঙ্গে লেখা।
-
পাত্রীদেখা সংস্কৃতির ডিজিটাল ভার্সন
তথাকথিত আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঙালির হাজার বছরের অনেক ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে বসেছে। সময় থাকতেই এগুলোকে ফিরিয়ে আনা উচিত।
যেমন ধরুন পাত্রী দেখতে যাওয়ার ব্যাপারটা। হাজার বছর ধরে বাঙালির ঐতিহ্য ছিল, পাত্রী দেখতে গেলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার চুল, দাঁত, গায়ের রং খেয়াল করা। এরপর আদুরে গলায় বলা – একটু হেঁটে দেখাও তো মা! স্লেচ্ছদেশীয় সংস্কৃতির প্রভাবে সেসব ঐতিহ্য এখন কেবলই স্মৃতি।
নাহ, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি মোটেও এই ঐতিহ্যকে হুবহু ফিরিয়ে আনতে বলছি না। আমি শুধু বলছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যটাকে একটু আপডেট করতে। এবং যেহেতু আমি মোটেও নারীবিদ্বেষী না, বরং কিঞ্চিত স্বঘোষিত সুশীল নারীবাদী, তাই এক্ষেত্রেও আমি নারী-পুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী।
আমার প্রস্তাব, পাত্রী দেখতে যাওয়ার পর আর কিছু না হলেও দুই পক্ষের অভিভাবকদের সম্ভাব্য পাত্রপাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা উচিত – মা/বাবা, তোমরা একটু ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করে দেখাও তো!
মানে এত আয়োজন করে বিয়ে করবেন, এরপর যদি দেখেন স্পাউস মুরাদ টাকলা, ব্যাপারটা কেমন হবে? এখন লজ্জায় একটু চ্যাট করে দেখাতে বলতে পারবেন না, এরপর বিয়ের পর যখন ম্যাসেজ পাবেন – “babo tome kamon aca?” তখন কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবেন না। আগেইসাব্ধাঙ্কর্ছিলাম, হুঁহ!
কার্টুন ক্রেডিট: আবু হাসান/ sarabangla.net/
-
করোনাভাইরাস নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা!!!
ভয়াবহ একটা অভিজ্ঞতা হলো আজ।
রাত আড়াইটা বাজে। একা একা রাত জেগে Roar বাংলার জন্য একটা আর্টিকেল দাঁড় করাচ্ছি, এমন সময় হঠাৎ দূরে কোথা থেকে যেন একটা করুণ কান্নার সুর ভেসে এলো।
আমার সারা শরীর ছমছম করে উঠল। বেনগাজিতে আমি যে এলাকায় থাকি, জায়গাটা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটারের মতো দূরে। আশেপাশে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত একটা কাকপক্ষীও থাকে না। সব পরিত্যক্ত ঘরবাড়ি। আইএসবিরোধী যুদ্ধের সময় পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এখনও কেউ ফিরে আসেনি।
-
বইমেলা বিষয়ক ফানি স্ট্যাটাস সমগ্র
বইমেলা চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে বেশ কিছু ফানি স্ট্যাটাস দিয়েছি। কিছু আমার স্পাই স্টোরিজ বইয়ের প্রমোশনের অংশ হিসেবে, কিছু এমনিই। এখানে সেগুলো একত্রে তুলে রাখলাম।
– ১ –
ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ।
বইমেলা এলেই নিজের বইয়ের প্রচারণা দিয়ে নিউজফিড ভর্তি করে ফেলায় এতো বছর যাদেরকে মনে মনে গালমন্দ করেছিলাম, এ বছর তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি 🙂 আপনারাও দিন।
এখন হয়তো বুঝছেন না, একদিন নিজে বই বের করলে এর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন। কবি বলেছেন, দাঁত না থাকলে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।
-
সরকারি কর্মকর্তাদেরকে খুবজা খাওয়ার জন্য লিবিয়ায় আসার আমন্ত্রণ
খুবজা নামের এই কাবারটাকে ইংরেজিতে সম্ভবত বলে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা বাগেট। যেই দেশে এই জিনিস নাই, সেই দেশের মানুষ কী খেয়ে বাঁচে, আমি জানি না!
দুনিয়ার প্রায় সব কিছুই খুবজা বা খোবজা দিয়ে খাওয়া যায়। সকালের নাশতা? ডিম/টুনা/চীজ/জেলি/জয়তুন যাই বলেন, সাথে খুবজ রুটি। লাঞ্চ বা ডিনার? যেকোনো ধরনের তরকারি, সাথে খোবজা। বিকেলের নাশতা? শুধু চায়ে ভিজিয়ে ভিজিয়ে খোবজা।
-
ক্রিমিনালোজি বিশ্বের ইতিহাসের কালো দিবস
ক্রিমিনালোজি বিশ্বের ইতিহাসে ১ ফেব্রুয়ারি তারিখটা একটা ঐতিহাসিক কালো দিবস হয়ে থাকবে।
১২৮ বছর ধরে যে প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে দুনিয়ার তাবৎ ইনভেস্টিগেটররা তাদের তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে, দুনিয়ার সব ধরনের আদালত যে প্রযুক্তির উপর বিশ্বাস রেখে রায় দিয়েছে, আজ সেই প্রযুক্তি একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়েছে।