-
স্পাই স্টোরিজে শুধু সিআইএ-মোসাদেরই কাহিনী কেন?
এই প্রশ্নটা আমাকে বেশ কয়েকজন করেছে – স্পাই স্টোরিজ পড়তে ভালো লেগেছে, কিন্তু শুধু সিআইএ-মোসাদের গল্পই কেন? মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর গোয়েন্দাদের এরকম কোনো গল্প পাওয়া যায় না?
উত্তর হচ্ছে, আসলেই পাওয়া যায় না। এর কয়েকটা কারণ আছে।
প্রথমত, আমি যে সময়টার গল্প বলতে চেয়েছি, অর্থাৎ আধুনিক সময়ের, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের বিশ্বের, এ সময় দুর্ভাগ্যবশত মুসলমানরা কেবল পরাজিতই হয়েছে। আর রাজনৈতিক বা সামরিক জয়-পরাজয়ের সাথে ইন্টালিজেন্সের সরাসরি সম্পর্ক থাকে।
-
এলি কোহেন সুপার স্পাই ছিল না: আল-জাজিরা ডকুমেন্টারি
এলি কোহেনের কথা মনে আছে? সেই ইসরায়েলি “সুপার স্পাই”, যাকে নিয়ে নেটফ্লিক্স The Spy নামে সিরিয়াল তৈরি করেছে? সেই এলি কোহেনকে নিয়েই গতকাল আল-জাজিরা একটা ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। এবং এই ডকুমেন্টারির ভাষ্য নেটফ্লিক্সের “বেজড অন এ ট্রু স্টোরি” সিরিয়ালটার ভাষ্যের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সিরিয়ালে এলি কোহেনকে মহান বীর হিসেবে দেখানো হয়। সে নাকি প্রায় সিরিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টারও হয়ে যাচ্ছিল। তার সাথে নাকি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আমিন আল-হাফেজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ৬৭ সালের যুদ্ধে জয়ের পেছনে নাকি তার বিশাল অবদান ছিল। এমনকি বাথ পার্টি যে ক্যু করেছিল, সেটাও নাকি তার অবদান ছিল। কিন্তু আল-জাজিরা বলছে, এ সবই অতিরঞ্জিত।
-
দেওয়ান চাঁদ মালিক: র-এর অভ্যন্তরে বাংলাদেশী স্পাই!
বিদেশী স্পাইদের কাহিনী তো অনেক শুনেছেন। এক বাংলাদেশী স্পাইর কাহিনী শুনবেন?
তার নাম দিওয়ান চাঁদ মল্লিক। অথবা দেওয়ান চাঁদ মালিক। ইংরেজিতে বানান কোথাও Diwan Chand Mallick, কোথাও Dewanchand Malik।
তার জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। এবং পড়াশোনা শেষে ১৯৯৯ সালে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা R&AW তথা Research and Analysis Wing-এ যোগ দেন।
-
মুসা (আ) এর ১২ গুপ্তচর: বিশ্বের সর্বপ্রথম গোয়েন্দাগিরির ইতিহাস
ইতিহাসের প্রথম গুপ্তচর কে ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। চাইনিজ সমরবিদ সান জু এবং ভারতীয় দার্শনিক চাণক্যের লেখায় গুপ্তচরবৃত্তির কৌশল সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু এগুলো মাত্র ২,৪০০ থেকে ২,৫০০ বছর আগেকার কাহিনী।
তাদের আগে কি গুপ্তচরবৃত্তি ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। লিখিত ইতিহাস পাওয়া না গেলেও মানব সভ্যতার আদিকাল থেকেই গুপ্তচরবৃত্তির চল থাকার কথা।
লিখিত আকারে বিশ্বের প্রাচীনতম গুপ্তচরদের সন্ধান পাওয়া যায় ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত তথা ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রথম পাঁচটি বইয়ের চতুর্থ বইয়ে। এবং সরাসরি না হলেও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনেও পরোক্ষভাবে এই কাহিনীর ইঙ্গিত দেওয়া আছে।
-
ডেড ড্রপ: গুপ্তচরদের অতি প্রয়োজনীয় কৌশল
ডেড ড্রপ (Dead Drop) হচ্ছে একটা স্পাই রিলেটেড টার্ম। গুপ্তচরদের মধ্যে পারস্পরিক সাক্ষাৎ ছাড়াই তথ্য বা জিনিসপত্র আদান-প্রদানের পদ্ধতির নাম ডেড ড্রপ।
যখন কোনো স্পাই কারো সাথে সরাসরি দেখা করে তার হাতে কোনো তথ্য বা প্যাকেজ তুলে দেয়, তখন সেটাকে বলা হয় লাইভ ড্রপ। কিন্তু এতে যেকোনো একজনের উপর নজরদারি থাকলেই অপরজনেরও ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফলে লাইভ ড্রপের পরিবর্তে ডেড ড্রপই এসপিওনাজ জগতে বেশি জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে প্রথমে একজন স্পাই সবার অলক্ষ্যে পূর্বে থেকে নির্ধারিত কোনো স্থানে প্যাকেজটি রেখে আসে, এরপর অন্যজন সুবিধামতো সময়ে গিয়ে সেটি উদ্ধার করে আনে।
ডেড ড্রপ পদ্ধতিতে ফেলে আসা প্যাকেজটি যেন রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে, সেজন্য প্রায় সময়ই সেটিকে বিভিন্ন ছদ্মবেশ দেওয়া হয়।
যেমন হতে পারে প্রথম স্পাই কোনো পার্কের নির্দিষ্ট একটা গাছের গোড়ায় একটা কাঠের টুকরা ফেলে আসলো, এরপর দ্বিতীয় স্পাই নির্দিষ্ট সময় পর সেই কাঠের টুকরাটা উঠিয়ে নিয়ে চলে আসলো।
কিন্তু সেই কাঠের টুকরাটা আসলে সাধারণ কোনো টুকরাটা না। হতে পারে সেটার ভেতরটা ফাঁপা এবং কোনোভাবে সেটা খুলতে পারলেই দেখা যাবে সেখানে আছে গোপন সব তথ্য, স্পাইক্র্যাফট অথবা অন্য কোনো সাপ্লাই।
-
স্পাই স্টোরিজ PDF ফ্রি ডাউনলোড!
-
ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কী?
নিউজে বা মুভিতে প্রায়ই ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কথাটা শোনা যায়। কিন্তু জিনিসটা কী?
রাষ্ট্রের স্বার্থে অনেক তথ্যকেই সিক্রেট বা টপ সিক্রেট ক্যাটাগরিতে ফেলে পাবলিকের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। ১০, ২৫ বা ৫০ বছর পর্যন্ত সেগুলো গোপন থাকতে পারে।
এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, কিংবা কখনও কখনও এর আগেই কেউ ফ্রিডম অফ ইনফরম্যাশন অ্যাক্ট জাতীয় কোনো ধারায় রিকোয়েস্ট করলে, কিংবা মামলা ঠুকে দিলে, অনেক সময় সরকার কিংবা গোয়েন্দাসংস্থাগুলো কিছু তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
গোপন তথ্য প্রকাশ করার এই প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ডিক্লাসিফিকেশন। আর এই প্রক্রিয়ায় ডিক্লাসিফাই করা ডকুমেন্টকে বলা হয় ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আগে কোনো ডকুমেন্ট “টপ সিক্রেট” হিসেবে ক্লাসিফাইড ছিল, এখন সেটাকে ডিক্লাসিফাই করা হয়েছে।
-
বিলিয়ন ডলার স্পাই: স্পাই স্টোরিজ বইয়ের এক্সার্প্ট
সিআইএর মস্কো স্টেশনের ক্ল্যান্ডেস্টাইন অফিসার বিল প্লাঙ্কার্ট দুশ্চিন্তায় আছেন। তার আশঙ্কা, গত দুই দশকের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে সিআইএর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পাই “সি.কে. স্ফিয়ার” হয়তো কেজিবির হাতে ধরা পড়ে গেছে। ধরা না পড়লেও অন্তত কেজিবির সন্দেহের তালিকায় নিশ্চয়ই তার নাম উঠে গেছে।
আর যদি সেরকম কিছুই হয়ে থাকে, তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজেকে কেজিবির হাতে তুলে দেয়া। অথচ প্লাঙ্কার্টকে এখন ঠিক সেই কাজটিই করতে হবে।