লিবিয়ান যোদ্ধারা তাকে এক অল্পবয়সী মেয়ের করুণ কাহিনী বলে, যাকে ইতালিয়ানরা অপহরণ করে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। অজানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মুক্তি পেয়ে ফিরে এসে সে তার বাবার কাছে মিনতি করেছিল তাকে মেরে ফেলার জন্য। বৃদ্ধ শেখ তার কপালে চুম্বন করে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, "যে ইতালিয়ান আমার চোখের সামনে পড়বে, তাকেই আমি হত্যা করব।"
ব্রিটিশরা বুঝতে পারে, জোর করে ট্রাস্টিশীপ ধরে রাখার চেষ্টা করার পরিবর্তে স্বেচ্ছায় স্বাধীনতা দিয়ে নতুন সরকারের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করাই বেশি লাভজনক। ফলে ১৯৪৯ সালে তারা সাইরেনাইকার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় এবং ইদ্রিস আস-সেনুসিকে রাজা হিসেবে সমর্থন দেয়। রাজা ইদ্রিস স্বাধীন "সাইরেনাইকা ইমারাত"-এর ঘোষণা দেন।
২০১১ সালে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল আট মাস ছয় দিন। এ বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে শুরু হওয়া রাজধানী ত্রিপোলি দখলের যুদ্ধ গত সপ্তায় সেই সময়সীমাকেও অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে দীর্ঘ অচলাবস্থার পর গত সপ্তায় যুদ্ধ গতি পেয়েছে। শহরের উপকণ্ঠ ছাড়িয়ে যুদ্ধ এখন এগিয়ে আসছে ত্রিপোলির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর দিকে, যে এলাকাগুলোতে লিবিয়ানদের পাশাপাশি প্রচুর বাংলাদেশীও বসবাস করে।
প্রেসিডেন্ট মুরসিকে অবৈধভাবে সরিয়ে জেনারেল সিসি ক্ষমতায় বসেছিল আমেরিকার নীরব সমর্থন নিয়েই। কিন্তু মিসরের সেনাপ্রভাবিত মিডিয়া সিসির ক্যুয়ের আগে-পরে পুরো সময়টাতে এমনভাবে ম্যারাথন প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, যেন আমেরিকা এবং ইসরায়েল মুসলিম ব্রাদারহুড আর মুরসির পক্ষে।
সাংবাদিকদের কাছে লিক করার সময় তিনি মরিশাসের পরিবর্তে আরেকটি আফ্রিকান কান্ট্রি মৌরিতানিয়ার নাম বলে দেন :) পরদিন পত্রিকাগুলোতে বড় করে হেডলাইন আসে, সিআইএ মৌরিতানিয়ার সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে!
অফুরন্ত অবসরের সেই অন্ধকার দিনগুলোতে রাতের বেলা আমরা যখন বাসার বাইরে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকতাম, তখনই কেবল আমাদের চোখে ধরা দিত আমাদের পৃথিবীর একমাত্র কৃত্রিম বাতির উৎস - চাঁদ আর তারার আলোর ফাঁকে ফাঁকে মৃদু গুঞ্জনে উড়তে থাকা ভিনদেশী প্লেনগুলোর মিটমিট আলো।