বিশ্ব রাজনীতি
-
দ্য (টর্চার) রিপোর্ট: যে রিপোর্টে আছে সিআইএর বন্দী নির্যাতনের কাহিনী
এই লেখাটি একই শিরোনামে আরো বিস্তারিত আকারে প্রকাশিত হয়েছে Roar বাংলায়। সেখান থেকে মূল লেখাটি পড়তে পারেন এই লিঙ্ক থেকে।
আবু জুবায়দা ছিল আল-কায়েদার মাঝারি পর্যায়ের একজন নেতা। ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার কয়েক মাস পর, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের আল-কায়েদার এক সেফ হাউজে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, সিআইএ এবং এফবিআই।
গ্রেপ্তারের সময় আবু জুবায়দা গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু তাকে চিনতে পেরে সিআইএ এবং এফবিআই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে। মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর সিআইএ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই, হাসপাতালের বিছানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পরবর্তীতে এফবিআই থেকে পদত্যাগ করা স্পেশাল এজেন্ট আলি সুফান।
-
ফ্রান্স: বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি
ফ্রান্স হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি।
ভাগ্যবান এই কারণে, অধিকাংশ মানুষ সারাদিন আমেরিকা আর ইসরায়েলকেই গালাগালি করে। গত কয়েক বছরে অবশ্য সিরিয়া আর শিংজিয়াংয়ের কারণে রাশিয়া এবং চীনকেও অনেকে গালাগালি করা শুরু করছে। কিন্তু ফ্রান্সের নাম কারো মুখে শোনাই যায় না। অথচ ফ্রান্সের অন্যায় এদের কারো চেয়ে কোনো দিক থেকে কম না। ফ্রান্সই একমাত্র সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি, যারা এখনও তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোকে প্রায় আগের মতোই শোষণ করে যাচ্ছে।
ফ্রান্স টিকেই আছে আফ্রিকাকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে। এটা গোপন কিছু না। সময়ে সময়ে ফরাসিরা নিজেরাও এটা স্বীকার করে। সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরা ১৯৫৭ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আফ্রিকার উপর নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে না পারলে একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ফ্রান্সের কোনো জায়গা থাকবে না। পাঁচ দশক পর তার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ২০০৮ সালে সেটা আবারও নিশ্চিত করে বলেছিলেন, আফ্রিকা না থাকলে ফ্রান্স তৃতীয় বিশ্বের তালিকায় ছিটকে পড়ত। তিনি পরিষ্কারভাবেই স্বীকার করেছিলেন, ফ্রান্সের ব্যাঙ্কগুলোতে যে টাকা আছে, তার একটা বড় অংশ এসেছে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে।
-
এলি কোহেন: দামেস্কে ইসরায়েলের ছদ্মবেশী গুপ্তচর
এলি কোহেন ছিলেন ইসরায়েলের বেস্ট স্পাইদের মধ্যে একজন।
এলি কোহেন ছিলেন মিসরীয় ইহুদী, কিন্তু তার বাবা ছিলেন সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে আসা। ফলে কোহেনের মিসরীয় এবং সিরিয়ান – উভয় ডায়ালেক্টের আরবির উপরেই ভালো দক্ষতা ছিল। ১৯৫৭ সালে মোসাদে যোগ দেয়ার পর কোহেনকে ধনী সিরিয়ান ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে সিরিয়াতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যেন তিনি ক্ষমতাসীন সিরিয়ানদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
-
কাসেম সোলায়মানির মৃত্যুতে ইসলামপন্থীদের শিয়া-সুন্নি বিষয়ক প্রতিক্রিয়া
কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা বা আঘাত করা হলে আমাদের প্রতিক্রিয়া কী রকম হওয়া উচিত, সেটা নিয়ে ইন্টারেস্টিং একটা ক্যাচাল বেঁধেছিল বছর দেড়েক আগে। ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার , মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মৃত্যুর পর সেটা আবার মনে পড়ে গেল।
মাহমুদুর রহমানকে ছাত্রলীগ/যুবলীগের সোনার ছেলেরা পেটানোর পর এমন অনেকেই তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছিল, যারা আদর্শিকভাবে মাহমুদুর রহমানের সাথে অনেক বিষয়েই একমত না। সুতরাং তাদের প্রতিবাদের ভাষা ছিল মোটামুটি এরকম – “মাহমুদুর রহমানের সাথে আমি অনেক ব্যাপারেই একমত না, কিন্তু আজকে যে ঘটনাটা ঘটেছে, সেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।”
-
ইরান ক্যাবল: ইরাকে ইরানি গোয়েন্দাদের গোপন কার্যক্রমের তথ্য
এ বছরের মাঝ-অক্টোবরে বাগদাদজুড়ে যখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া বইছিল, তখন সবার অলক্ষ্যে নীরবে শহরে প্রবেশ করেন এক পরিচিত ব্যক্তি। সে সময় কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে। বিশেষত তারা নিন্দা জানাচ্ছিল ইরাকি রাজনীতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরানের অস্বাভাবিক মাত্রার হস্তক্ষেপের। ইরানের বিরুদ্ধে তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছিল ইরানি পতাকা পোড়ানো এবং ইরানি কন্সুলেট আক্রমণ করার মধ্য দিয়ে।
পরিচিত ব্যক্তিটি সেখানে গিয়েছিলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু সেখানে তার উপস্থিতিই ছিল আন্দোলনকারীদের প্রধান ক্ষোভের সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কারণ তিনি ছিলেন মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি, ইরানের প্রভাবশালী কুদস ফোর্সের প্রধান। এবং তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ইরাকি পার্লামেন্টের এক মিত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহদিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কাজ করতে।
-
বিশ্বের সবচেয়ে হাস্যকর বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা
২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর বেশ মজার একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন লিবিয়ার সাবহা থেকে ত্রিপোলি যাওয়ার পথে আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের একটা বিমান ছিনতাই হয়ে যায়।
প্লেনটাতে মোট ১১১ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু জন ছিল, যাদের মধ্য ৮২ জন পুরুষ, ২৮ জন নারী এবং ১ জন শিশু। জিম্মিদের মধ্যে লিবিয়ার পার্লামেন্ট এইচওআরের (হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ) একজন সদস্যও ছিলেন।
সাবহা থেকে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই দুইজন ছিনতাইকারী প্লেনটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাদের হাতে ছিল বন্দুক এবং হ্যান্ড গ্রেনেড। তারা প্লেনটাকে মাল্টায় নিয়ে যেতে পাইলটকে বাধ্য করে। মাল্টায় অবতরণের পরপরই তারা প্রথমে নারী এবং শিশুদেরকে এবং পরে সব যাত্রীকে মুক্তি দিয়ে দেয়। ভেতরে থাকে শুধু পাইলট আর ক্রুরা।
-
১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা অধ্যায়
২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সেদিন লিবিয়াতেও শুরু হয়েছিল গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, যার ধারাবাহিকতায় আট মাস পর ঘটেছিল বেয়াল্লিশ ধরে ক্ষমতায় থাকা লৌহ মানব গাদ্দাফির পতন। কিন্তু ঠিক কী কারণে, কীভাবে শুরু হয়েছিল এ বিদ্রোহ? আর ঠিক কীভাবেই পতন হয়েছিল গাদ্দাফীর? সেই ইতিহাসই তুলে ধরলাম এ লেখায়। লেখাটি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
-
জেড (Z): গ্রীসের সামরিক স্বৈরশাসনের উপর অসাধারণ এক পলিটিক্যাল থ্রিলার
গ্রীক পরিচালক কোস্তা গাভরাস (Costa犀利士 -Gavras) এর মুভি প্রথমে দেখেছিলাম ২০১০ সালের দিকে, মিসিং (Missing)। চিলির সামরিক অভ্যুত্থান, গণহত্যা এবং সেই অভ্যুত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন ভূমিকার উপর সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত অসাধারণ একটা পলিটিক্যাল থ্রিলার।
এরপর আইএমডিবিতে (IMDB – Internet Movie Database) গিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে জানতে পারলাম, এই পরিচালকের সবচেয়ে বেশি রেটিং পাওয়া মুভি হচ্ছে আরেকটা পলিটিক্যাল থ্রিলার, Z (1969)। আইএমডিবি রেটিং 8.2, কিন্তু ফ্রেঞ্চ ভাষায় নির্মিত সিনেমাটার ভোটসংখ্যা কম হওয়ায় আইএমডিবির অ্যালগরিদম অনুযায়ী এটা টপ লিস্টে উঠতে পারেনি।
(more…)