বিশ্ব রাজনীতি
-
রিফাত আল-আসাদ এবং তার গণহত্যাগুলো
এই লোকের নাম রিফাত। রিফাত আল-আসাদ।
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের চাচা। সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদের ভাই। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে, সত্তরের দশকের শেষের দিকে যখন সিরিয়াতে প্রথম গৃহযুদ্ধ চলছিল, তখন রিফাত আল-আসাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংঘটিত হয়েছিল একাধিক গণহত্যা।
-
ম্যারি কোলভিনের প্রাইভেট ওয়ার
নিচের ছবি গাদ্দাফির সাথে ম্যারি কোলভিনের যে দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছে, সেটা বাস্তবের না, A Private War সিনেমার। এবং এখানে যে গাদ্দাফিকে দেখা যাচ্ছে, তিনিও আসল গাদ্দাফি নন; সিনেমার অভিনেতা। তবে বাস্তবেও সানডে টাইমসের সাংবাদিক ম্যারি কোলভিন গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। একবার না, একাধিক বার।
১৯৮৬ সালে রিগ্যান প্রশাসন যখন লিবীয় নেতা মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনের উপর বিমান হামলা (অপারেশন এল-ডোরাডো ক্যানিয়ন) পরিচালনা করে, তখন ম্যারি কোলভিনই ছিলেন প্রথম সাংবাদিক, যিনি গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
-
গাদ্দাফির লিবিয়ায় ফিলিস্তিন (ফটোব্লগ)
আমাদের পুরো শৈশব-কৈশোরে আমরা টিভিতে “ইসরায়েল” নামটা শুনিনি। শুনেছি শুধু “ফিলিস্তিন” বা “দখলকৃত ফিলিস্তিক”।
ছোটকালে আমরা শুধু লিবিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-জামাহিরিয়াই দেখতে পারতাম। বিটিভি দেখার সৌভাগ্য হয় নাই, বাট ধারণা করছি জামাহিরিয়া ছিল বিটিভিরই লিবিয়ান ভার্সন। সারাদিন শুধু গাদ্দাফিকেই দেখানো হতো।
সংবাদেও কোনো বৈচিত্র্য ছিল না। গাদ্দাফি কোথায় গিয়েছে, কী করেছে, কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে ফোনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে – শুধু সেগুলোরই ম্যারাথন বিবরণ।
-
ঘাসান কানাফানি: এক বলিষ্ঠ কণ্ঠের বিপ্লবী
৭২ বছর আগের এই দিনে (১৫ই মে) ইসরায়েল তার অস্তিত্বের ঘোষণা দেয়, আর সেদিন জায়নিস্টরা দল বেঁধে আক্রমণ করে ফিলিস্তিনের আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামগুলোতে। ৭ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন ১২ বছর বয়সী বালক গাসসান কানাফানি।
পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি হারিয়ে তার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল প্রথমে লেবাননে, পরে সিরিয়ায়। দামেস্ক ইউনিভার্সিটি পড়াশোনা করেছেন সাহিত্য নিয়ে। নিজেও বেড়ে উঠেছেন সাহিত্যিক হিসেবেই। কিন্তু ভুলে যাননি তার আত্মপরিচয়ের কথা।
-
জাতিসংঘের প্রতিনিধির পদত্যাগ: লিবিয়ার শান্তি কি তবে আরো পেছাল? (প্রথম আলোতে প্রকাশিত)
আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করার পর গত ২ মার্চ, সোমবার বিকেলে হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ঘাসান সালামে। তার পদত্যাগের ঘোষণাটি এমন এক সংকটময় মুহূর্তে এলো, যখন ১১ মাস ধরে চলা ত্রিপোলির গৃহযুদ্ধে এক অনিশ্চিত এবং ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বিরাজ করছিল।
সোমবার বিকেলে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আরবিতে টুইট করে সালামে জানান, স্বাস্থ্যগত কারণে তার পক্ষে আর এই চাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, ফলে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ৬১ বছর বয়সী সালামের পদত্যাগের পেছনে তার শারীরিক সুস্থতা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লিবিয়ার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষ করলে সন্দেহ হয়, সালামে হয়তো লিবিয়ার পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
-
তালেবান-আমেরিকা শান্তিচুক্তি: আফগানিস্তানে কি শান্তি আসছে?
তালেবান-আমেরিকার শান্তিচুক্তি নিঃসন্দেহে তালেবানদের জন্য এবং আফগানিস্তানের জন্য বিশাল একটা অর্জন। কিন্তু শান্তির পথ এখনও বহুদূর। শান্তিচুক্তিটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আরও বৃহত্তর প্রক্ষাপটে এটা খুবই ছোটো একটা স্টেপ।
এই শান্তিচুক্তিকে অনেকেই আমেরিকার জন্য বড় ধরনের পরাজয় হিসেবে দেখছে। এটা একদিক থেকে সত্য। যে তালেবানকে আমেরিকা ক্ষমতাচ্যুত করেছিল, যাদেরকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে নির্মূল করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল, শেষপর্যন্ত তাদের সাথে, তাদের শর্ত অনুযায়ীই শান্তিচুক্তি করতে হয়েছে – এটা এক ধরনের পরাজয় বৈকি। কিন্তু তালেবান জিতে গেছে, আমেরিকা শেষ হয়ে গেছে বলে যে আবেগী উচ্ছ্বাস সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, তাতেও একটু সমস্যা আছে।
-
যুদ্ধ শেষে বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত!
যুদ্ধ যখন শেষ হবে, বাশার আল-আসাদ যখন টিকে যাবে, তখন তার প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব (এবং সেই সাথে ব্র্যাকেটে ইসরায়েল)।
যতই অদ্ভুত শোনাক, এটাই সত্য। এবং এই কথা আজই প্রথম বলছি না, আরো বছর দেড়েক আগে পুরাতন আইডি থেকেও বলেছিলাম। তখন সেটা ছিল জাস্ট একটা অনুমান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা এই অনুমানকে আরো বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।
-
ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কী?
নিউজে বা মুভিতে প্রায়ই ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কথাটা শোনা যায়। কিন্তু জিনিসটা কী?
রাষ্ট্রের স্বার্থে অনেক তথ্যকেই সিক্রেট বা টপ সিক্রেট ক্যাটাগরিতে ফেলে পাবলিকের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। ১০, ২৫ বা ৫০ বছর পর্যন্ত সেগুলো গোপন থাকতে পারে।
এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, কিংবা কখনও কখনও এর আগেই কেউ ফ্রিডম অফ ইনফরম্যাশন অ্যাক্ট জাতীয় কোনো ধারায় রিকোয়েস্ট করলে, কিংবা মামলা ঠুকে দিলে, অনেক সময় সরকার কিংবা গোয়েন্দাসংস্থাগুলো কিছু তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
গোপন তথ্য প্রকাশ করার এই প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ডিক্লাসিফিকেশন। আর এই প্রক্রিয়ায় ডিক্লাসিফাই করা ডকুমেন্টকে বলা হয় ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আগে কোনো ডকুমেন্ট “টপ সিক্রেট” হিসেবে ক্লাসিফাইড ছিল, এখন সেটাকে ডিক্লাসিফাই করা হয়েছে।