বইপত্র
-
“গল্পগুলো সিরিয়ার” PDF ফ্রি ডাউনলোড!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গল্পগুলো সিরিয়ার বইটা ডাউনলোড করতে আসার জন্য। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে – স্যরি ভাই, আপাতত কোনো ডাউনলোড লিঙ্ক দিচ্ছি না। এটা হচ্ছে এপ্রিল ফুল (জ্বী, আজকের তারিখটা ১লা এপ্রিল) বিষয়ক পোস্ট। অথবা বলতে পারেন এপ্রিল ফুল বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্ট। টাইটেলটা জাস্ট ফর অ্যাটেনশন 🙂
এপ্রিল ফুলের আসল ইতিহাস জানতে চাইলে রোর বাংলায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের এই পোস্ট, সচলায়তনের এই পোস্ট, অথবা মুহাম্মদ সজল ভাইর এই পোস্ট এবং এই পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন। তবে সংক্ষেপে ব্যাপারটা হচ্ছে, স্পেনে মুসলমানদের উপর প্রচুর নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, স্পেনে লাখ লাখ মুসলমানকে (এবং ইহুদীদেরকেও) হত্যা করা হয়েছে – এ সবই সত্য।
-
যে বোকামিতে ধরা পড়তে বসেছিল সিআইএর সেরা অফিসার!
পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকের ঘটনা। সিআইএ তাদের ইন্টালিজেন্স অফিসার জ্যাক ও’কনেলকে ডীপ আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে মিসরে প্রেরণ করেছে।
ও’কনেল যখন মিসরের কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেন, তখন গভীর রাত। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে তিনি কায়রোর একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন।
রিজার্ভেশন চেক করার জন্য হোটেলের ক্লার্কের দিকে যখন তিনি তার পাসপোর্ট এগিয়ে দেন, তখন তাকে হতভম্ব করে দিয়ে ক্লার্ক জিজ্ঞেস করে, did you come from CIA? অর্থাৎ, “আপনি কি CIA থেকে এসেছেন?”
ক্লার্কের প্রশ্ন শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ও কনেল – তার পরিচয় কি তাহলে ফাঁস হয়ে গেছে?
(more…)犀利士 > -
সংকলিত: ফ্রিতে পড়ুন নতুন বইয়ের অধ্যায়!
ইংরেজি বিভিন্ন পত্রিকায়, বিশেষ করে ম্যাগাজিনগুলোতে আপনি প্রায়ই দেখবেন, নতুন কোনো বই প্রকাশিত হওয়ার আগেই তারা বইটির এক বা একাধিক অধ্যায় প্রকাশ করে থাকে।
এর ফলে দুটো লাভ হয়। একদিকে লেখক এবং প্রকাশক তাদের নতুন বইয়ের সংবাদ সহজে আগ্রহী পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। অন্যদিকে পাঠকরা সেই নতুন বইয়ের এক বা একাধিক অধ্যায় পড়ে নতুন কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে, লেখকের লেখনীর সাথে পরিচিত হতে পারে, এবং বইটি কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সংকলিত ডট কমের মাধ্যমে আমরা ঠিক এই কাজটিই করতে যাচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বা নতুন প্রকাশিতব্য বিভিন্ন বইয়ের নির্বাচিত এবং আকর্ষণীয় এক বা একাধিক অধ্যায়ের সংকলন আমরা এই ওয়েবসাইটের পাঠকদের সামনে তুলে ধরব। পাঠক সেগুলো পড়বে, নতুন কিছু জানবে, মুগ্ধ হবে, এবং সেই মুগ্ধতার পরিমাণ বেশি হলে আশা করা যায় বইগুলো কিনবে।
-
সাদাত হোসাইনের চার রংয়ের প্রচ্ছদ বিতর্ক: দোষ কার?
কোনো ঘটনায় অধিকাংশ মানুষই কাকে দায়ী করতে হবে, সেটা জানে না। যে ফেমাস, বা যে সফল, তার প্রতি সম্ভবত মানুষের ঈর্ষা একটু বেশি থাকে। ফলে তাকেই দায়ী করে। অনেক সময়ই অন্যায়ভাবে।
সাদাত হোসাইনের কথাই ধরেন। তার উপন্যাস আপনার কাছে ভালো নাই লাগতে পারে এবং সেজন্য তার উপন্যাসের সমালোচনা করার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। একইসাথে চার রংয়ের বই বিক্রি করার আইডিয়াটাও আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে এবং সেটা নিয়ে সমালোচনা করার অধিকারও আপনার আছে।
-
গাদ্দাফির দৃষ্টিতে ইরাক আক্রমণের ফলাফল
২০০২ সালের অক্টোবরে, ইরাক যুদ্ধের ছয় মাস আগে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক স্কট অ্যান্ডারসন (Scott Anderson) লিবীয় নেতা মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফির একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণের জন্য সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ততা, গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদনসহ একের পর এক নানা অজুহাত তৈরি করছিল।
স্কট অ্যান্ডারসন ঐ সাক্ষাৎকারে গাদ্দাফিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আমেরিকা যদি আসলেই ইরাক আক্রমণ করে, তাহলে কে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে?”
দীর্ঘ সেই সাক্ষাৎকারে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে গাদ্দাফি তার স্বভাবসুলভ নাটকীয় ভঙ্গিতে দীর্ঘ বিরতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এই প্রশ্নটির উত্তর যেন তার তৈরিই ছিল। বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “বিন লাদেন।”
গাদ্দাফি বলেছিলেন,
কোনো সন্দেহ নেই ইরাক আক্রমণ করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে আল-কায়েদা। ইরাক হয়ে উঠবে আল-কায়েদার আক্রমণের স্টেজিং গ্রাউন্ড। কারণ সাদ্দামের সরকার যদি ধ্বসে পড়ে, ইরাকে অরাজকতা নেমে আসবে। যদি সেটা ঘটে, তাহলে আমেরিকার উপর আক্রমণ জিহাদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সে সময় কেউ গুরুত্ব দেয়নি, কিন্তু এখন অনেক বিশ্লেষকই এ ব্যাপারে একমত যে, আফগানিস্তান যুদ্ধের পর যে আল-কায়েদা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বা অন্তত আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল, ইরাক যুদ্ধই তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে গত এক দশকের যে সঙ্কট, দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ, আল-কায়েদা ও আইসিসের উত্থান, তার সব কিছুর মূলে আছে ২০০৩ সালে আমেরিকার ইরাক আক্রমণ।
স্কট অ্যান্ডারসনের লেখা বই “ফ্র্যাকচার্ড ল্যান্ডস” থেকে। বইটির রিভিউ পড়তে পারেন এখান থেকে।
-
প্রত্যাবর্তন – হিশাম মাতার
২০১১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্তও আমি (হিশাম মাতার) ভাবতে পারিনি, জীবনে কখনও লিবিয়ায় ফিরে যেতে পারব।
সে সময় আমি সবেমাত্র লন্ডন ছেড়ে নিউইয়র্কে গিয়ে উঠেছিলাম। আমার বাবা-মা প্রথম এই শহরটিতে এসেছিলেন ১৯৭০ সালের বসন্তকালে, যখন আমার বাবাকে জাতিসংঘে লিবিয়া মিশনের প্রথম সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই শরৎকালেই আমার জন্ম।
তিন বছর পর, ১৯৭৩ সালে আমরা ত্রিপোলিতে ফিরে যাই। এরপরেও আমি চার কি পাঁচবার নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রতিবারই সংক্ষিপ্ত সফরে। কাজেই ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যদিও আমি আমার জন্মস্থানেই গিয়ে উঠেছিলাম, কিন্তু এটি ছিল আমার কাছে প্রায় সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি শহর।
-
আমার প্রথম হ্যাকিংয়ের গল্প: এডওয়ার্ড স্নোডেন
আমার জীবনে প্রথম যে জিনিসটা আমি হ্যাক করেছিলাম, সেটা হচ্ছে সময়। ঘুমোতে যাওয়ার সময়।
আমার কাছে এটাকে খুবই অন্যায্য মনে হতো যে, আমার বাবা-মা নিজেরা কিংবা আমার বোন ঘুমোতে যাওয়ার আগেই আমাকে জোর করে ঘুমোতে পাঠাতেন – আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ার অনেক আগেই। এটা ছিল আমার প্রতি জীবনের প্রথম অবিচার।
-
হুমায়ূন আহমেদ কি গোস্ট রাইটারের সাহায্য নিতেন?
Jahirul Islam নামে এক ভদ্রলোক ফেসবুকের কিছু গ্রুপে একটা পোস্ট দিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদ শেষ এক দশকে গড়ে প্রতি ৩৭ দিনে একটা করে উপন্যাস লিখেছেন। শুধু উপন্যাস না, এই সময়ে তিনি নাটক-সিনেমাও লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। তার প্রশ্ন, কাজী আনোয়ার হোসেনের মতো হুমায়ূন আহমেদও তার লেখালেখির কাজে গোস্ট রাইটারের সাহায্য নেননি তো?